চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। এবার ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০টি।
অন্যদিকে, শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে। এবার মোট ২ হাজার ৩৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৭৫টি।
এ বছর গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত এসব তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন। এ সময় তার সঙ্গে শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ এপ্রিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। সময়সূচি অনুযায়ী, দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীন এসএসসি এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিলের (ভোকেশনাল) লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৩ মে।
আর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৫ মে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে একাধিক বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার তারিখও কয়েকদিন পিছিয়ে যায়।
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডসহ ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২৯ হাজার ৭৯৮ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তিন হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন