২০৪১ সাল নয়, তার আগেই বাংলাদেশের প্রত্যেক তরুণ স্মার্ট নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের প্রত্যেক তরুণ স্মার্ট সিটিজেন হয়ে গড়ে উঠবে। সেটি ২০৪১ সালে নয়, তার আগেই হবে। আমরা সত্যি সত্যি সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবো।’
রোববার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ‘ফিউচার অব এডুকেশন অ্যান্ড ওয়ার্ক: স্টেপিং স্টোন টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক ‘ফায়ার সইড চ্যাটে’ তিনি এসব কথা বলেন। এতে উপস্থাপনা করেন টেন মিনিট স্কুলের কো-ফাউন্ডার অ্যান্ড সিওও মির্জা সালমান হোসাইন বেগ।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘স্টার্টআপ সামিট-২০২৩’-এর দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রুপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন, তখন তিনি এর চারটা স্তম্ভের কথাও বলেছেন। সেগুলো হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইট, স্মার্ট ইকোনোমি এবং স্মার্ট গর্ভনমেন্ট। এ সবগুলোর গোঁড়াতে রয়েছে স্মার্ট সিটিজেন। এ স্মার্ট সিটিজেন দিয়েই স্মার্ট গর্ভনমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও ইকোনোমি গড়ে তোলা হবে।’
‘স্মার্ট সিটিজেন’ কেমন হবে, তার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট সিটিজেন কে? তিনি কি শুধুই প্রযুক্তিতে দক্ষ একজন মানুষ। নাকি শুধুই ভাষার দক্ষতা আছে, তেমন একজন মানুষ। তিনি কি শুধুই অভিযোজনক্ষম একজন মানুষ, যিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন? আমার বিশ্বাস- এর চেয়েও আরও বেশি কিছু।’
দীপু মনি বলেন, ‘স্মার্ট সিটিজেন মানে হচ্ছে তিনি অবশ্যই দক্ষ এবং নিজেকে সব ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলেছেন। তিনিই স্মার্ট যে মানবিক, যার মধ্যে সৃজনশীলতা আছে। সেই স্মার্ট যে অসাম্প্রদায়িক ও পরমতসহিষ্ণু, সৎভাবে জীবনযাপন করতে চান এবং মানুষের প্রয়োজনে নিজের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।’
আগামীতে শিক্ষাই সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের যে স্বপ্নটা দিয়েছেন, পিতা মুজিব যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন, সেটা যদি বাস্তবায়ন করতে হয়, এসডিজি যদি অর্জন করতে হয়, তাহলে শিক্ষাই সেখানে প্রধানতম হাতিয়ার হবে। আমাদের এখন অনেক বড় মেগা প্রকল্প চলছে। এগুলো হয়ে গেলে শিক্ষাই হবে সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প। সেটা দিয়েই বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন