মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় দেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির প্রবণতা কমে গেছে। তাপমাত্রাও অনেকটা বেড়ে গেছে। তবে আগামী দু-দিনের মধ্যে বৃষ্টি ফের বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
সারাদেশেই বৃষ্টি বেড়েছিল। বিশেষ করে উপকূলীয় চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। কোথাও কোথাও ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ৩০০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে যায়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল চট্টগ্রামের জীবনযাত্রা। সেখানে কয়েকটি অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। তবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি কম। এসময়ে সবচেয়ে বেশি ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে।
বুধবার সকাল থেকেই ঢাকা ছিল বৃষ্টিহীন। তবে বিকেলের দিকে ঢাকার বেশিরভাগ অংশে এক পশলা তুমুল বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছেন, ঢাকায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তবে যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও সায়েদাবাদ এলাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী দুদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন