বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১০ম দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হয়েছে। ২৩ ও ২৪ আগস্ট এই দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সংলাপ।
এর আগে ৯ম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপ গত ১৬ থেকে ২০ মে যুুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপের আয়োজন শুরু হয়।
দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপে প্রথমদিন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, অপারেশনস ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জেমস থমাস জন।
এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, এ সংলাপের লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করা। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তি সুদৃঢ় করা। এই সম্পর্ক বহুমাত্রিক, বহুমুখী এবং সর্বদা বিকশিত। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিরক্ষা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত সহায়তার বিষয়টি সুস্পষ্ট।
প্রতি বছর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এবং সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে এক সঙ্গে কাজ করে আসছে। দুই দেশের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সামরিক সফর বিনিময় সামরিক সহযোগিতার একটি অন্যন্য বৈশিষ্ট্য।
এবারের সংলাপে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, যৌথ অনুশীলন ও মোতায়েন, কর্মশালার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এর আগে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের প্রধান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন