
বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর গ্রামে আফাজ উদ্দিন ওরফে লিটন (৩২) হত্যার ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোর পাঁচ টায় পুলিশ তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিহতের স্ত্রী চায়না বেগম বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গ্রেফতারকৃত শামীম মন্ডল (২৬) সহ আরও তিন জনের নাম ও পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও তিন জনকে আজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আফাজ উদ্দিন ওরফে লিটন মাদকসেবী ছিলেন। গত সোমবার দিবাগত রাতে মাদক সেবন করাকে কেন্দ্র করে নিজ শোবার ঘরে আসামীরা আফাজ উদ্দিনের মাথায়, গালে ও গলায় জখম করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে বেলা ১১ টায় পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
আসামী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবু কুমার সাহা বলেন, “নিহতের লাশ উদ্ধার ও বগুড়ার শাহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। মামলার পরে একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায় নিহত লিটন ও আসামীরা মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে যুক্ত। এলাকায় মাদক বিক্রির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে বিবাদ লেগেই থাকত। প্রায় বিশ দিন আগেও ঝাঁজর বাজারে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরেই লিটন খুন হয়ে থাকতে বলে তারা মনে করা হচ্ছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন