গ্যাবনে সেনা অভ্যুত্থান, জেনারেলকে কাঁধে নিয়ে রাস্তায় বিজয় মিছিল | Daily Chandni Bazar গ্যাবনে সেনা অভ্যুত্থান, জেনারেলকে কাঁধে নিয়ে রাস্তায় বিজয় মিছিল | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ১৫:৫৯
গ্যাবনে সেনা অভ্যুত্থান, জেনারেলকে কাঁধে নিয়ে রাস্তায় বিজয় মিছিল
অনলাইন ডেস্ক

গ্যাবনে সেনা অভ্যুত্থান, জেনারেলকে কাঁধে নিয়ে রাস্তায় বিজয় মিছিল

আফ্রিকার দেশ গ্যাবনে সেনা অভ্যুত্থানের পর সেনাপ্রধান জেনারেল ব্রিস অলিগুই গুয়েমাকে কাঁধে নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে দেশটির সেনারা। জেনারেল ব্রিসকে অন্তবর্তীকালীন নেতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

এদিন গ্যাবনের রাজধানী লিব্রেভিলের রাস্তায় জেনারেল এনগুয়েমাকে তার সৈন্যরা কাঁধে তুলে বিজয় মিছিল করে।

এদিকে, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো তার বাড়ি থেকে একটি ভিডিও বার্তায় সবার সামনে আসেন এবং তিনি তার ‘সারা বিশ্বের বন্ধুদের’ তার পক্ষে ‘সরব হওয়ার’ আহ্বান জানান।

সাবেক ফরাসি উপনিবেশ এই দেশটি আফ্রিকার অন্যতম প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ। আলী বঙ্গোর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মাধ্যমে তার পরিবারের ৫৫ বছরের ক্ষমতার অবসান হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এর আগে, তার বাবা টানা ৪১ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।

বুধবার (৩০ আগস্ট) ভোররাতে সেনা কর্মকর্তারা টিভিতে উপস্থিত হয়ে বলেন যে তারা ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।

তারা বলেছে যে তারা শনিবারের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করেছে যেখানে আলী বঙ্গোকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল কিন্তু বিরোধীরা বলছে নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে।

কর্মকর্তারা আরও বলেছেন যে তারা মিঃ বঙ্গোর এক ছেলেকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, জেনারেলরা আলোচনার জন্য একত্রিত হন। সেখানে তারা সিদ্ধান্ত নেন - পরিবর্তিত সময়ে নেতৃত্ব কে দেবেন।

পরে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রাক্তন প্রধান জেনারেল এনগুয়েমার নাম প্রস্তাব করা হলে তাকে নিয়োগের ব্যাপারে সেনারা সর্বসম্মত ভোটে সম্মত হন।

সেনাবাহিনীর এই ঘোষণার পর লিব্রেভিল এবং অন্যান্য জায়গায় সাধারণ মানুষ উদযাপন করতে থাকে। কিন্তু জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং ফ্রান্স এই অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা করেছে, যাদের সাথে বঙ্গো পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

বঙ্গো পরিবারের প্রতি গ্যাবনের বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে তীব্র অসন্তোষ জন্ম নিয়েছিল। টানা ৫৫ বছর ধরে এই পরিবারটি দেশটিকে শাসন করেছে - এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে দেশটিকে ঘিরে জনগণের অসন্তোষ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিব্রেভিলের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ‘প্রথমে আমি ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু তারপর আনন্দ হয়েছে।’ শুরুতে ভয় পেয়েছি কারণ আমি একটি অভ্যুত্থানের মধ্যেও বেঁচে আছি, কিন্তু আমি আনন্দিত কারণ এই শাসনের উৎখাতের জন্য আমরা এতদিন অপেক্ষা করছিলাম।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন