নাগোরনো-কারাবাখে জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণ, নিহত ২০ | Daily Chandni Bazar নাগোরনো-কারাবাখে জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণ, নিহত ২০ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৭:৩৫
নাগোরনো-কারাবাখে জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণ, নিহত ২০
অনলাইন ডেস্ক

নাগোরনো-কারাবাখে জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণ, নিহত ২০

আজারবাইজানের বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে একটি জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েকশ মানুষ। স্থানীয় আর্মেনিয়া কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রায় ৩০০ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। খবর বিবিসির।

গত সপ্তাহে ওই এলাকা আজারবাইজানের দখলে যাওয়ার পর থেকে হাজার হাজার জাতিগত আর্মেনীয় নাগরিক বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৩ হাজারের মতো শরণার্থী ওই ছিটমহল ছেড়ে আর্মেনিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। সেখানে এক লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ানের বসবাস ছিল।

আর্মেনিয়ার সরকার যুদ্ধের কারণে বাস্তুহারা মানুষকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর থেকেই তারা এলাকা ছাড়তে শুরু করে। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, ওই এলাকায় জাতিগত নিধন চলছে। তবে স্টেপানাকার্ট শহরে সোমবার সন্ধ্যায় কী কারণে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।

একটি মানবাধিকার সংস্থা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছে, জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। অধিকাংশ লোকজনের অবস্থাই গুরুতর। এছাড়া নাগোরনো-কারাবাখের চিকিৎসা ব্যবস্থা যথেষ্ট নয় বলেও জানানো হয়।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে স্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও সাতজনের মৃত্যু হয়।

নাগোরনো-কারাবাখ দক্ষিণ ককেসাসের একটি পাহাড়ি এলাকা। এটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তবে তিন দশক ধরে এটি জাতিগত আর্মেনিয়ানরা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এই ছিটমহলের প্রতি আর্মেনিয়া এবং তাদের মিত্র রাশিয়ার সমর্থন ছিল। বছরের পর বছর ধরে সেখানে শত শত রুশ সেনা ছিল।

গত সপ্তাহে আজারবাইজানের সেনারা আক্রমণ চালালে রাশিয়ার পাঁচজন শান্তিরক্ষী এবং ২০০ জন জাতিগত আর্মেনিয়ান এবং আজারবাইনের বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে সেখানে এটাই চলছে (জাতিগত নিধন) এবং এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, কারণ এ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানানোর চেষ্টা করছি।

আজারবাইজান বলছে, যে তারা জাতিগত আর্মেনিয়ানদেরকে ‌‘সমান নাগরিক’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। লোকজন ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে আর্মেনিয়ার সীমান্তে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন