
বৃহস্পতিবার উডবার্ণ সরকারী গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সা:) উপলক্ষে আহলে সুন্নাতওয়াল জামাআত বগুড়ার আয়োজনে রহমাতুল্লিল আলামিন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান নেছারী। প্রধান মেহমান এর বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীন। প্রধান আলোচক এর বক্তব্য রাখেন আল্লামা সুলাইমান খান রব্বানী,বিশেষ মেহমান এর বক্তব্য রাখেন মুফতী আব্দুল কাদের সিদ্দিকী নুরী,মাওলানা,আবু সাইদ,সৈয়দ মেহেদী হাসান সাব্বীর,আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা হারুনুর রশিদ,সিয়াম হোসেন প্রমুখ।প্রধান মেহমান ভিপি সাহীন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বলেন -প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর শুভ আবির্ভাব ঘটে।হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সমভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এই যুগকে বলা হতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’-এর যুগ।তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ২৫ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন।পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না।’এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এই দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী) গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাপক। বাংলাদেশ সহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন