গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৬০ শিশু নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ২২ হাজার ৬০০টির বেশি আবাসিক ভবন, ১০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৪৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের চলমান হামলার কারণে আড়াই লাখের বেশি ফিলিস্তিনি তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গাজা থেকে দুই লাখ ৬৩ হাজার ৯৩৪ জনের বেশি মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
হামাস সরকারের মিডিয়া অফিসের প্রধান সালামা মারুফ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বেশ কিছু আবাসিক ভবন, কারখানা, মসজিদ এবং দোকান-পাট লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত কয়েকদিন ধরেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে। দুপক্ষের সংঘাতে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৯ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। অপরদিকে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১২০০।
গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে কমপক্ষে ৯৫০ জন নিহত হয়েছে। শনিবার থেকেই বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মঙ্গলবার রাতে তারা গাজায় ২০০ টার্গেটে হামলা চালিয়েছে।
গত শনিবার ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর থেকেই দুপক্ষের লড়াই অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দুই শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। হামাসের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে হামাসের সঙ্গে সংঘাতের কারণে বিভিন্ন দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই পোল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কানাডা, নাইজেরিয়া, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, স্পেন এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কিছু দেশ তাদের নাগরিকদের ইসরায়েল থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন