গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বাস্তুহারা ১০ লাখ মানুষ | Daily Chandni Bazar গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বাস্তুহারা ১০ লাখ মানুষ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:৫৮
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বাস্তুহারা ১০ লাখ মানুষ
অনলাইন ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বাস্তুহারা ১০ লাখ মানুষ

গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে আরও কয়েক লাখ মানুষ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজায় নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। অর্থাৎ অবরুদ্ধ এই উপত্যকার প্রায় অর্ধেক মানুষই এখন বাস্তুহারা। খবর আল জাজিরার।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনডব্লিউআরএ জানিয়েছে, গাজায় সংস্থাটি পরিচালিত বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয়ের খোঁজে আছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। সংস্থাটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে ইউএনডব্লিউআরএর এসব স্কুলের অবস্থা ক্রমাগত ভয়াবহ হচ্ছে বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই স্কুলগুলোর মধ্যে একটি মধ্য গাজার আল-মাগাজি শরণার্থী শিবির। এখানে প্রায় চার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়।

ইসরায়েলি বিমান হামলার সময় এসব মানুষ আহত হন। পরে সোমবার বিকেলে এদের মধ্যে কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত ৫০০ মানুষ নিহত হয়। গাজায় হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি যুদ্ধাপরাধ। হাসপাতালটি শত শত আহত ও অসুস্থ মানুষের আশ্রয়স্থল ছিল। হাসপাতালটি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতাল নামেও পরিচিত ছিল। এটি একই সঙ্গে যুদ্ধে ঘরবাড়ি হারানো মানুষের আশ্রয়স্থল এবং রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হতো।

এ ঘটনার পর পশ্চিম তীরের শহরগুলোতে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এদিকে হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির মহাপরিচালক এক্স নেটওয়ার্কে এক পোস্টে এ নিন্দা জানান।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাহায্য সংস্থা মেডগ্লোবালের জাহের সাহলুল এ হামলাকে কোনো চিকিৎসা স্থাপনায় ২১ শতকের সবচেয়ে বাজে আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন। একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। নিন্দা জানিয়েছে মিশর এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোও।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন