গাজায় নিহত বেড়ে সাড়ে ৩ হাজার, শেষ খাবার ও পানি | Daily Chandni Bazar গাজায় নিহত বেড়ে সাড়ে ৩ হাজার, শেষ খাবার ও পানি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০
গাজায় নিহত বেড়ে সাড়ে ৩ হাজার, শেষ খাবার ও পানি
অনলাইন ডেস্ক

গাজায় নিহত বেড়ে সাড়ে ৩ হাজার, শেষ খাবার ও পানি

টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৪৮৮ জনে। এছাড়া ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে। এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় খাবার পানিও শেষ হয়ে গেছে। সেখানে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ উপকূলীয় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আহত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি মানুষ। পশ্চিম তীরে আহতের সংখ্যা ১৩০০ এর বেশি।

ইসরায়েল শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করছে। জাতিসংঘের স্কুল, হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এমনকি জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার গুদামেও বোমা ফেলেছে ইসরায়েল। এসব তথ্য জানিয়েছে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা, রেডক্রসসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই শিশু। বাকিদের বেশিরভাগই নারী। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজায় নিহতদের মধ্যে এক হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।

এসোসিয়েট প্রেস বুধবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, গাজা উপত্যকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব স্বাস্থ্যের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, 'গাজার পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং গাজার জীবন ফুরিয়ে যাচ্ছে।'

গাজা সাধারণত ইসরায়েল থেকে পাইপলাইন, ভূমধ্য সাগরে ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট এবং কূপসহ কয়েকটি উৎস থেকে খাবার ও ব্যবহারের পানি পায়। ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার পর ইসরায়েল বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করেছে গাজায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে পানির উৎসগুলো থেকে পানি সংগ্রহও হ্রাস পেয়েছে।

আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সেলমিয়া বলেন, আহতদের হাসপাতালের মেঝেতে রাখা হয়েছে। রক্তাক্ত মেঝেতে অবশ করা ছাড়াই রোগীদের অপারেশন করতে হচ্ছে। এটি হৃদয়বিদারক।

আবু সেলমিয়া বলেন, আমাদের যন্ত্রপাতি দরকার, ওষুধ দরকার, বিছানা দরকার, অ্যানেস্থেশিয়া দরকার, আমাদের সবকিছু দরকার। হাসপাতালের জেনারেটরের জ্বালানীও একেবারে শেষের দিকে।'

মঙ্গলবার গাজার কেন্দ্রে অবস্থিত আল আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলায় ৫ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তি।

এদিকে ইসরায়েল শুরুতে দাবি করেছিল যে, হামাস হামলা চালিয়ে ৪০ শিশুকে হত্যা করেছে। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা। এ বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তবে পরবর্তীতে হোয়াইট হাউস জানায় যে, এ বিষয়ে খুব বেশি তথ্য তাদের কাছে নেই। পরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীও জানায় যে, ৪০ শিশু নিহতের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। অপরদিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১৪,০২ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৪,৪৭৫ জন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন