
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লীতে সরকারি খাসের জায়গা থেকে একটি ইউক্যালিপটাস ও তিনটি বেলজিয়াম গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে জাহিদুর নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ৪টি গাছের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বলে নিশ্চিত করেছেন সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন। সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায় উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর কোড়ালপার গ্রামে সরকারি ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৯৪২ নং দাগের জায়গা থেকে একটি ইউক্যালিপটাস ও তিনটি বেলজিয়াম গাছ গুলো সবার অজান্তে কেটে ফেলে ওই এলাকার জাহিদুর রহমান। পরে গাছ গুলো স্থানীয় গাছ ব্যাবসায়ী সোলায়মানকে বিক্রয় করে দেয়। উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদুর রহমান বলেন আমি সরকারি জায়গা থেকে গাছ কর্তন করিনাই আমার মালিকানা জায়গা থেকে গাছ কর্তন করেছি। তিনি আরো বলেন, ঝড়ে জোবায়েরে মেম্বারের পুকুরে গাছ গুলো পড়ে যায় তার সিন্ধান্ত মোতাবেক গাছ গুলো কেটে আমি ও জোবায়ের মেম্বার বিক্রয় করেছি। এবিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় উইপি সদস্য জোবায়ের হোসেন বলেন, আমার মাছ চাষকৃত পুকুরে গিয়ে দেখি পুকুরে গাছ পড়ে আছে এবং গাছের পাতা পড়ে মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় লোকজনদেরকে বলি যার গাছ সে দ্রুত কেটে নেন আমার পুকুরের মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই বলে আমি সেখান থেকে চলে আসি। তিনদিন পর গিয়ে দেখি গাছ গুলো কে যেন কর্তন করে নিয়ে গেছে, গাছ বিক্রয়ের সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। এদিকে ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের নায়েব মুনিরুল ইসলাম জানান, জাহিদুর রহমানের গাছ কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে আমি সরেজমিনে গিয়ে উক্ত জায়গাটি মাপজোগ করে দেখেছি ৯৪২ দাগে পুরো জায়গায় খাস এবং জাহিদুর রহমান গাছ কেটে বিক্রয় করার প্রমান পেয়েছি। খাস জায়গা থেকে গাছ কাটার অধিকার কারো নেই। উক্ত বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন