
বর্তমান সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তামাক (সিগারেট) কোম্পানীগুলো সরকারের জনস্বাস্থ্য রক্ষার এ মহৎ উদ্যোগকে ব্যাহত করতে নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ অপচেষ্টার মূল উদ্দেশ্য দেশের তরুণ সমাজকে ধুমপানের দিকে আকৃষ্ট করা। ধুমপায়ী বানিয়ে বাণিজ্য করাই তাদের উদ্দেশ্য। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অসংক্রামক রোগের চাপে বিপর্যস্ত। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ নানা অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ তামাক ব্যবহার। দেশের ৩ কোটির বেশী মানুষ তামাক ব্যবহার করে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে তামাক ত্যাগ করাতে সরকার নানা উদ্যোগে ব্যস্ত। অপরদিকে কোম্পানীগুলো আইন ভঙ্গ করে নতুন নতুন ধুমপায়ী তৈরি এবং দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করছে। নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিক্রেতাদের উৎসাহিত করছে। বিক্রয় কেন্দ্রগুলোকে দাম প্রদর্শন, হ্যান্ডবিল, ডিসপ্লে, পোস্টারসহ নানা অভিনব ও আকর্ষণীয় উপায়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। জনগণের সুরক্ষার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তামাক কোম্পানী প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার পাশাপাশি বিক্রেতাদেরকে পাটনার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করে আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে। অথচ এই সামজে সেটি কাম্যনয়। সকলকে সচেতন করার মধ্যে দিয়ে তামাকজাত দ্রব্যকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
গতকাল বুধবার বগুড়ার শহর সমাজ সেবা অধিদপ্তর কার্যালয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও মেরী সমাজ কল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।
মেরী সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মেহেরুন্নেছার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেন বগুড়া শহর সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম। সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্য সাংবাদিক আজাহার আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ বক্তা হিসেবে অংশ নেন সাংবাদিক এইচ আলিম, পেসড এর নির্বাহী পরিচালক রোমমানা খাতুন, শিক্ষাবিদ শারমিন আরা, সাংবাদিক আরিফ জাহান, অংশগ্রহণকারী ফাহিম ইসলামসহ প্রমুখ।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন