ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম যেনো প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে মসজিদের ইমামদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও মডেল মসজিদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ষষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এনিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৩০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার উদ্বোধন করলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মদিনায় অবস্থিত মসজিদে-আন-নববীর ইমামুল খতিব শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান।
এ সময় মসজিদের ইমামদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কোনো তরুণ যেনো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকে আসক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের একটি পাতাও নড়েনা। আমরা সেই বিশ্বাস করি। সেই জন্য যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। এই পরিবেশটাই আমরা রক্ষা করতে চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন বলেন, দেশে অন্য ধর্মের মানুষও বসবাস করে। ইসলাম শান্তি ও সহনশীলতার ধর্ম। অন্য ধর্মের মানুষও যাতে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে। ইসলাম যে শান্তির ধর্ম, সে বার্তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ইমামদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে যেভাবে হত্যা হচ্ছে, আমরা এটা চাই না। ইতোমধ্যে সেখানে সাধ্যমতো ওষুধ ও শুকনা খাবার পাঠিয়েছি। আমরা চাই সবাই শান্তিতে বসবাস করুক। বেলজিয়ামে গিয়ে বিশ্ব নেতাদের বলেছি, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী, জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন, ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাসহ সারাদেশ থেকে প্রায় এক লাখ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামগণ।
এদিন জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও বিশ্বজয়ী হাফেজদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন