নওগাঁর মান্দায় নি¤œমানের ইটের খোয়া, মাটি মিশ্রিত বালু, পর্যাপ্ত পানি ব্যবহার ও সঠিকভাবে রোলিং না করেই একটি রাস্তায় কার্পেটিং করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ নি¤œমানের কাজের প্রতিবাদ করার পরও উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগসাজস করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
উপজেলার পাকুড়িয়া-রাজেন্দ্রবাটী রাস্তাটিতে এরই মধ্যে ডব্লিউবিএম ও প্রাইমকোডের কাজ শেষ হয়েছে। যেকোনে দিন এ রাস্তায় কার্পেটিং করা হবে। উপজেলা এলজিইডি দপ্তরে কাজটি ২০২১ সালের ৩ মার্চ শুরু দেখানো হলেও তা শুরু হয়েছে মাত্র এক মাস আগে।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পাকুড়িয়া-রাজেন্দ্রবাটী পর্যন্ত রাস্তায় ১ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮ লাখ ২০ হাজার ৩৮২ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মা এন্টারপ্রাইজের পক্ষে আব্দুস সোবহান নামের এক ব্যক্তি কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
উপজেলার বিথউথরাইল গ্রামের আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা পাকাকরণ কাজে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করছি। তিনি বলেন ডাব্লিউবিএম বেডে পর্যাপ্ত পানি ব্যবহার করে রোলিং করতে হয়। এর পর তা শুকিয়ে আবারও রোলিং করতে হয়। এ রাস্তার ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। প্রাইমকোড করার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কার্পেটিং করতে হবে। লুসবেডে কার্পেটিং করা হলে কোনোভাবেই রাস্তাটি টেকসই হবে না।’
একই গ্রামের বাসিন্দা তুহিন আলী বলেন, রাস্তাটিতে ৩ নম্বর ইটের বড়বড় খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে মাটি মিশ্রিত বালু। পর্যাপ্ত পানি ও রোলিং করা হয়নি। এসবের প্রতিবাদ করা হলে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন ঠিকাদারের লোকজন।
এ প্রসঙ্গে মোবাইলফোনে জানতে চাইলে ঠিকাদার আব্দুস সোবহান বলেন, ‘খুব ব্যস্ত আছি। এখন কথা বলতে পারছি না।’
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, নিয়ম মেনেই রাস্তাটিতে পাকাকরণ করা হচ্ছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। দেরিতে কাজ শুরুর বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন