২০১৫ সালের পর শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে নেপালে। এতে দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত প্রায় ১২টার দিকে নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভারতের উত্তরাঞ্চেলের রাজ্যগুলোতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
নেপালের অবস্থান ভারত ও চীনের মধ্যে। ২০১৫ সালে দেশটিতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। তখন দুইটি ভূমিকম্পে প্রায় নয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
ধ্বংস হয় দেশটির শত বছরের মন্দির ও ঐতিহাসিক স্থাপনা। ভেঙে যায় ১০ লাখের বেশি ঘরবাড়ি। ওই ভূমিকম্পে নেপালের ক্ষতি হয় ৬০০ কোটি ডলার।
হিমালিয়ান এই দেশটিতে এর আগে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল ১৯৩৪ সালে। তখন প্রাণ হারায় সাড়ে আট হাজারের বেশি নেপালি।
নেপালের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্র জানিয়েছে, শুক্রবার (৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১২টার দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা জাজারকোটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নেপালে আঘাত হানা এই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ভারতের উত্তর অঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। বিশেষ করে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে। এসময় অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসেন। প্রায় এক মিনিট অনুভূত হওয়া এই ভূমিকম্পে নেপালের প্রতিবেশী দেশটিতে এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন