সম্প্রতি পোশাকশ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেলা সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী যে মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে তা বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা ১৪১ এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি দিয়ে শ্রমিকরা কোনোক্রমেই জীবন-যাপনের ব্যয় মেটাতে পারবে না। আমাদের শ্রমিকরা এই মজুরি মানেন না। ডিসেম্বর থেকে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করতে হবে।
এসময় তারা শ্রমধারা ১৪১ তুলে ধরে বলেন, শ্রমিকের জীবন-যাপন ব্যয়, জীবন-যাপনের মান, উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা, উৎপাদিত পণ্যের মূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, কাজের ধরন, ঝুঁকি ও মান, ব্যবসায়িক সামর্থ্য, দেশের এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে দেখার বিধান রয়েছে। অথচ এই আইন অনুযায়ী আমাদের মজুরি নির্ধারণ হয়নি। বরং পুলিশ আমাদের একজন নারী শ্রমিককে হত্যা করেছে। অসংখ্য শ্রমিককে নির্যাতন করা হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম এ সাহিন, শ্রমিক নেত্রী,জাহানারা বেগম প্রমুখ।
এসময় তারা পাঁচ দাবি জানান
১. নিম্নতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে, যাতে ৬৫ শতাংশ মজুরি নিশ্চিত হয়।
২. সব গ্রেডে একই হারে মজুরি বাড়াতে হবে।
৩. প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধির বিধান নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ষষ্ঠ এবং সপ্তম গ্রেড বাতিল করে পাঁচটি গ্রেড করতে হবে।
৫. শিক্ষানবিশের বিধান বাতিল করতে হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন