বগুড়ার গাবতলীতে অবৈধভাবে রাস্তার ধারে সরকারী খাল এবং ফসলী জমির থেকে মাটি খনন বন্ধ করতে বগুড়া জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গত ২৭নভেম্বর সরকারী ডাকযোগে এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগটি করেন স্থানীয় কৃষক মোঃ আব্দুর রহিম।
অভিযোগে তিনি বলেন, উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পেরীহাট থেকে মহিষাবান ইউপি রাস্তার মোল্লা ইটভাটা সংলগ্ন রাস্তার বকচর এর নিকটবর্তী সরকারী খালসহ ফসলী জমির মাটি অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে খনন করে ইটভাটায় বিক্রি করছে। ফলে মহিষাবানের রাস্তা এবং নিকটতম কালভাট ভেঙ্গে পড়েছে এবং বর্ষাকালে আরো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধভাবে মাটি খননেন কারণে উর্ববর ফসলের জমি ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। অন্যের জমির ডেবে গিয়ে ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে। প্রতিবাদ করতে গেলে মাটি দস্যুরা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। ভূমি দস্যুরা হলেন, শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক লক্ষিকোলা গ্রামের মৃত সলেমান মন্ডলের ছেলে মাসুদুর রহমান ওরফে কালে মাসুদ, মহিষাবান ইউনিয়নের কর্ণিপাড়া গ্রামের ইনসান আলীর ছেলে বাবু মিয়া, একই গ্রামের বিপ্লব, দেলোয়ার দোলা, ধর্মগাছা গ্রামের জিল্লুর মিয়াসহ ৮/১০জন।
এই ভূমি দস্যুদের হাত থেকে অত্র এলাকার রাস্তাঘাটসহ ফসলী জমিগুলো রক্ষার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। এ বিষয়ে থানার নবাগত ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, অবৈধভাবে কোথাও কোন মাটি কাটা যাবে না। খবর পেলে পুলিশ গিয়ে অবশ্যই বন্ধ করবে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এরআগেও একবার বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু আবার শুরু করেছে বিষয়টি জানা ছিল না। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ফসলী জমি থেকে মাটি খনন করার কোন বৈধতা নেই।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন