অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। একটি ভিডিও ফুটেজে একটি ধসে পড়া ভবন দেখা গেছে। সেখানে হামলার পর লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গত দুই দিনে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ওই শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালালো ইসরায়েলি বাহিনী। খবর আল জাজিরার।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও বেশ কয়েকজন আটকা পড়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে খান ইউনিস শহরেও ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক হামলায় হতাহতের খবর জানিয়েছে ওয়াফা।
এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে যারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিদ্যমান ভিসা এবং ভবিষ্যতের আবেদন বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এমন ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। পশ্চিম তীরে সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বা ফিলিস্তিনি দুপক্ষের জন্যই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা।
নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মিলার আরও বলেন, ইসরায়েলি সরকারের উচিত চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বন্ধ করতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া। তিনি বলেন, সহিংস বসতি স্থাপনকারীদের সঠিকভাবে বিচারের আওতায় আনার জন্য ইসরায়েলকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
তিনি ফিলিস্তিনিদের কথাও বলেছেন। তার মতে, যারা ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাবে তাদের জন্যও ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
মিলার বলেন, নতুন ভিসা নীতি চালু হচ্ছে। এটা অনেকের জন্যই প্রযোজ্য হতে পারে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরও ভিসা প্রত্যাহার করা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যারা পশ্চিম তীরের শান্তি, নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে তাদের ভিসা বা ভিসার আবেদন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। এখনও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন