তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গাড়িঘোড়ায় যারা চলাচল করেন তারা সাধারণ মানুষ। তারা রাজনীতি বোঝেন না, রাজনীতি করেন না। এদের ওপর যারা হামলা চালায় তারা কিসের রাজনীতি করে? একটি গাড়ি বা বাস পুড়িয়ে দেওয়া মানে একটি পরিবার পুড়িয়ে দেওয়া, একটি পরিবারের স্বপ্ন পুড়িয়ে দেওয়া। এরা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু।’
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মিডিয়া ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিস ‘রাজনীতির নামে জ্বালাও পোড়াও বন্ধ নাশকতা বন্ধ কর, নির্বাচনই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ’ শীর্ষক এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে রাজনীতির নামে এমন নৃশংসতা হয়নি, যেটা বিএনপি-জামায়াত করছে। এটি হচ্ছে জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তাদের এ ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস, বাসের ড্রাইভার-হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা করা, গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া কোনো রাজনীতি নয়। এগুলোকে অপরাজনীতি বললেও ভুল হবে। তাদের এই বর্বরতা আর চলতে দেওয়া যায় না। আমরা এই আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে যারা বিএনপি-জামায়াতকে বাতাস দিতো তারা এখন বাতাস দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে এরা এমনই সংগঠন, তাদের বাতাস দিলে কাজ হয় না, ভিটামিন ট্যাবলেট দিলেও হয় না, তারা দাঁড়াতেই পারে না। রাজনীতির কিছু ছোট ছোট দল আছে, এরা আবার বিএনপির মিত্র। এরা ব্যাঙের ছাতার মতো থাকে কিন্তু এদের আওয়াজ বড়। নির্বাচনে দাঁড়ালে এক হাজার ভোটও পায় না। এর আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একজন দাঁড়িয়ে ঢাকা শহরের ৩৫ লাখ ভোটের মধ্যে এক হাজার না দেড় হাজার ভোট পেয়েছিল। এই ব্যাঙের ছাতারাও এখন বুঝতে পেরেছে বিএনপির সঙ্গে থেকে কোনো লাভ নেই।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র উপড়ে ফেলে দেশে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আশা করছি, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন আমরা দিতে পারবো।’
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন