
নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার শঙ্কায় নিরাপত্তা চাইতে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসেন বগুড়া- ৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী ও আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে তিন সহযোগীসহ তিনি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
পরে হিরো আলম জেলার পুলিশ সুপার (পদ্দোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্তি ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় আধাঘণ্টা সেখানে কথার বলার পর অতিরিক্তি ডিআইজি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী সংসদ সদস্য প্রার্থী হিরো আলমকে নিয়ে তাঁর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদ্দোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আব্দুর রশিদও উপস্থিত ছিলেন।
হিরো আলম বলেন, নির্বাচন করা না করা নিয়ে অনেক সংশয় ছিলো। প্রতীক বরাদ্দের পরও তা গ্রহণ না করে ভাবনায় ছিলাম। সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়ে আজ প্রতীক গ্রহণ করেছি। শুক্রবার থেকে পুরোপুরি প্রচারণায় নামবো। এর আগে আমার ওপরে হামলা হয়েছে। এজন্য শঙ্কা নিয়ে পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাত করতে এসেছি। ঢাকায় সমস্যা হলে আমরা ডিবি প্রধান হারুন ভাইয়ের কাছে যাই তবে বগুড়ায় মারধর খাইলে বাঁচতে হলে পুলিশ সুপারের কাছেই আসতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় কোন সমস্যা হলে যাতে কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ তাক্ষণিক সহযোগিতা করতে পারে এজন্য এখানে আসা। পুলিশ সুপার খুবই আন্তরিক ও ভালো মানুষ। উনি সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
নির্বাচনের খরচ আসবে কোথায় থেকে এমন প্রশ্নে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, সব প্রার্থীর নির্বাচন করতে খরচ লাগেনা যেটুকু লাগবে ভালোবেসে তার জনগণই তাকে দিবে। হিরো আলম আরও বলেন, ’বগুড়াসহ সারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটা ইসি বারবার বলেছে। আর এক্ষেত্রে পুলিশ ও সাংবাদিকরা বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন তিনি'। তবে ভোটাররা তাকে বলছে তোমাকে ভোট দেব কয়বার? তুমি পাস করলে তাও পেলে না। পরে ভোটারদের আবারও অনুরোধে নির্বাচনের মাঠে থাকলাম। আবার অনেকে মনে করেছে হিরো আলম টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। টাকা খেয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছে। এসব প্রশ্ন ভেঙে দেওয়ার জন্যও ভোটের মাঠে রয়েছি।’ আত্মবিশ্বাসের সাথে তিনি বলেন ফাঁকা মাঠে কাউকে গোল দিতে দিবো না।
এদিকে অতিরিক্ত ডিআইজি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, আশরাফুল আলম একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী। উনার প্রচারণা থেকে শুরু করে নির্বাচন অব্দি সবরকম নিরাপত্তার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। শুধু উনিই নন বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনের সকল প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ প্রস্তুত আছে। বগুড়ায় নির্বাচনী আমেজ ও পরিবেশ অনেক ভালো। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে কাজ করছে। কেউ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ের মতো বগুড়ায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, এখানে নানারকম ফলসহ নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে। পুলিশের সবাই অনেক সহযোগীতা করেছেন। এখানেতো আজই প্রথম আবারও আসলে ডিবি অফিসের মতো ভাত দিয়েও আপ্যায়ন করবে।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দাবি করে হিরো আলম বলেন, গত উপনির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হেরে গেছি। সাধারণ মানুষের অনুরোধেই এবার ভোটে এসেছি। তাই যতো শক্তিশালী বা বিত্তবান প্রার্থী থাকুক না কেন সুষ্ঠ নির্বাচন হলে হিরো আলমই বিজয়ী হবে।
উল্লেখ্য, আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া- ৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী। তিনি এবার দলটির ডাব মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন