অনিয়ম, কারচুপি ও নৌকার এজেন্টদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুটি আসনে ৩ প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার তারা আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
ভোট বর্জন করা প্রার্থীরা হলেন- ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট কায়সার আহাম্মদ এবং ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন দীপু এবং যশোর–১ (শার্শা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আশরাফুল আলম লিটন।
রোববার সকাল ১১টায় অ্যাডভোকেট কায়সার আহাম্মদ গফরগাঁওয়ের ধামাইলে তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে কায়সার অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকেই নৌকার সমর্থকেরা প্রতিটি কেন্দ্রে ঢুকে ভয় দেখিয়ে ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল মারার মহোৎসব করছেন। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নৌকার এজেন্ট এবং কর্মী–সমর্থকেরা নৌকায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসনকে জানিয়েও তিনি কোনো প্রতিকার পাননি। এই নির্বাচন বাতিল করে তিনি পুনরায় এই আসনে নির্বাচন দেয়ার জন্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় তার দলীয় নেতা–কর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকায় ছিল মারা, কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়া, ভোটকেন্দ্র এলাকায় বোমা হামলা ও গুলিসহ একাধিক অভিযোগে যশোর–১ (শার্শা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আশরাফুল আলম লিটন ভোট বর্জন করেছেন।
আশরাফুলের অভিযোগ, ৫৫টি কেন্দ্র থেকে ট্রাক মার্কার এজেন্টকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তার দেড় শ কর্মী–সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। এসব ঘটনায় তিনি প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাননি।
আশরাফুল আলম লিটন অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে থাকলে তার অনেক কর্মীর মৃত্যু হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের কোনো প্রতিশ্রুতিই তার আসনে বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন