জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সেখানে অভিযান চালায় দুদক। এরমধ্যে ইন্টার্নশিপ করতে আসা প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগের সত্যতা মেলে।
পাশাপাশি সার্জারি ফির অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ, নার্সদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ বহির্বিভাগে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তবে দুদকের অভিযানে এর সত্যতা মেলেনি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের সদস্যরা প্রথমে ছদ্মবেশে রোগী এবং স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেন। পরবর্তীতে কথা বলেন নিটোর যুগ্ম পরিচালকসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। এছাড়া রেকর্ডপত্র যাচাই করে জানা যায় যে, ইন্টার্নশিপে আসা প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। তবে সেই টাকা ব্যয় হয় প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কাজে। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি চলমান বলে দুদক টিমকে জানায় নিটোর কর্তৃপক্ষ।
তবে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে এবং ভাউচার যাচাই করে সার্জারির জন্য অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের অভিযোগের সত্যতা মেলেনি।
অপরদিকে সিলেটের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুস দাবির অভিযোগের বিষয়ে পৃথক অভিযান চালায় দুদক।
অভিযান শেষে দুদক জানায়, ওই পাসপোর্ট অফিসের সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ পাওয়া যায় যে, যে সব সেবাগ্রহীতা নিজে পূরণ করে ফরম জমা দেন, তাদের আবেদন নানা কারণে ত্রুটি-বিচ্যুতির অজুহাত দেখিয়ে ফেরত দেওয়া হয়। ফলে সেবা গ্রহীতারা কোনো উপায় না পেয়ে ট্রাভেল এজেন্সির শরণাপন্ন হন। ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে পূরণ করা আবেদনে বিশেষ চিহ্ন দেওয়া থাকে। ফলে তাদের কোনো হয়রানির শিকার হতে হয় না।
এসব অভিযোগের সত্যতা দুদকের অভিযানে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন