সাড়ে ১৩ বছর বয়সী একজন মাদরাসার ছাত্র পালানোর চেষ্টা করে। এজন্য সে সাততলা ভবনের ছাদ থেকে দড়ি বেয়ে নামছিল। কিছুদূর নামার পর সে আতঙ্কিত হয়ে ছয় তলার কার্নিশে আটকে পড়ে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তার অনুরোধের পর ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ৯৯৯ এর পুলিশ পরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা) আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ভারতীয় ভিসা সেন্টারের পাশে সালমা সাঈদ তাহফিজুল কুরআন সাততলা মাদরাসা ভবন থেকে দড়ি বেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিছুদূর নামার পর সে আতঙ্কিত হয়ে ছয় তলার কার্নিশে আটকে পড়ে। তখন সে নিচেও নামতে পারছিল না আবার ওপরেও উঠতে পারছিল না। ভয়ে ও আতঙ্কে গুটিশুটি মেরে কার্নিশে বসে ছিল। এমন তথ্য জানিয়ে ২০ জানুয়ারি সাগর নামে একজন কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান।
তার কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ এর কলটেকার কনস্টেবল কাজী রাসেল। কনস্টেবল রাসেল তাৎক্ষণিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ঘটনাটি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান। পরে ৯৯৯ ফায়ার ডেসপাচার ফায়ার ফাইটার মো. সজীব মিয়া উদ্ধার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
সংবাদ পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সাড়ে তের বছর বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয়।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন