মহাদেবপুরে সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গৃহবধু রীনা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি | Daily Chandni Bazar মহাদেবপুরে সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গৃহবধু রীনা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ২২:৪২
মহাদেবপুরে সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গৃহবধু রীনা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি
ষ্টাফ রিপোর্টার

মহাদেবপুরে সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গৃহবধু
রীনা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি

নওগাঁর মহাদেবপুরে সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও নিজ  বাড়িতে গৃহবধু হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। গত ২৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন মাস্টার পাড়ার নিজ বাড়ির স্বয়ন ঘর থেকে ফেরদৌস আলমের স্ত্রী রীনা বেগমের (৪৩) হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ থানা পুলিশ উদ্ধার করে। এ হত্যাকান্ডের পর পুলিশ ওই রাতেই নিহত রীনার স্বামী ফেরদৌস আলমকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। তবে জিজ্ঞাসা বাদে ফেরদৌসের কাছ থেকে এ হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্ততা এবং কোন"ক্লু"না পাওয়ায় আটকের দুই দিন পর ২৭ জানুয়ারী থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ রুহুল আমিন জানান। স্থানীয় লোকজনের ধারণা স্বয়ন ঘরের আলমিরার তালা ভেঙ্গে নগত টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুটের সময় বাধা দেয়ায় তাকে এ হত্যাকান্ডের স্বীকার হতে হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ২৫ বছর আগে ফেরদৌস ও রীনার বিয়ে হলেও কোন সন্তান না হওয়ায় ফেরদৌস অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে করে। এনিয়ে ২০১৭ সালে রীনার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। রীনা বেগম সম্প্রতি কুঞ্জবন মাস্টার পাড়ায় দুই ইউনিটের একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে তার ভাই ভাবী ও ৭ বছর বয়সের ভাতিজিসহ বসবাস শুরু করেন। ইতোমধ্যে ফেরদৌসের দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেলে ফেরদৌস আবার রীনাকে বিয়ে করে। নিহত রীনার ছোট ভাই একরামুল ইসলাম জানান, তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করেন ও তার স্ত্রী একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। প্রতিদিনের মত ঘটনার দিন সকালে তারা স্বামী-স্ত্রী বাড়ি থেকে স্ব-স্ব কর্মস্থলে যান। অন্যদিন তাদের মেয়ে রীনার কাছে থাকলেও ওইদিন তাদের সাথেই যায়। এদিন রাত ৮ টার দিকে তারা বাড়ি এসে দেখতে পান ঘরের মেঝেতে হাত-পা বাঁধা রীনা বেগমের মরদেহ। তৎক্ষনাৎ এ খবর থানা পুলিশকে জানান তারা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ রুহুল আমিন জানান, ক্লু-লেস এ হত্যাকান্ডের রহস্য দ্রুত সময়ে উদঘাটন হয়ে যাবে। একটি সূত্র জানায়, জীবদ্দশায় রীনা বেগম বিভিন্ন জনের কাছে সুদে টাকা লগ্নি করতেন। একারণে তার কাছে সব সময়ই নগদ মোটা অংকের টাকা থাকতো। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন