আদমদীঘিতে অনুমোদন ছাড়াই তিন ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে হিমাগার | Daily Chandni Bazar আদমদীঘিতে অনুমোদন ছাড়াই তিন ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে হিমাগার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ২৩:৫০
আদমদীঘিতে অনুমোদন ছাড়াই তিন ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে হিমাগার
প্রশাসন কাজ বন্ধ করে দিলেও অপসারণ হচ্ছে না সামগ্রী
॥ আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

আদমদীঘিতে অনুমোদন ছাড়াই তিন ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে হিমাগার

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে তিন ফসলি জমিতে সরকারি সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া বুশরা গ্রুপের আলুর হিমাগার এর নির্মান করা হচ্ছে এমন খবর জানার পর নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত এক সপ্তাহ আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশের পর ভারী কাজ করা বন্ধ রাখলেও ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক নির্মান সামগ্রী অপসারণ করেনি, বরং নির্মান সামগ্রী নিয়ে আসার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিন ফসলি জমিতে শিল্প-কারখানা নির্মান প্রতিরোধ আইন সংসদে পাশ হবার অপেক্ষার সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন উপজেলার সান্তাহারের বুশরা গ্রুপ নামের এক প্রতিষ্ঠান। এঘটনায় এলাকার কৃষক সহ সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি অভিযোগের সতত্যা বিষয়ে নিশ্চিত হন। তিনি সরকারি সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন ছাড়া নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক হাফেজ বেলাল হোসেনকে নির্দেশ প্রদান করেন। জানা গেছে, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কামারকুড়ি মৌজার সান্তাহার কলাবাগান এলাকার বুশরা গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হাফেজ বেলাল হোসেন সম্প্রতি ওই প্রদিষ্ঠানের পাশে থাকা ছোট্ট একটি মাঠের প্রায় পাঁচ একরের অধিক পরিমান তিন ফসলি জমি কিনে নিয়েছেন। এরপর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাগিয়ে নিয়েছেন হিমাগার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স। সেই ট্রেড লাইসেন্সের বলে বলিয়ান হয়ে গত মধ্য জানুয়ারি থেকে শুরু করেন হিমাগার নির্মানের কাজ। এর ফলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন এলাকার কৃষক সহ কৃষিবান্ধব সচেতন মহল। তারা তিন ফসলি জমি নষ্ট করে ইমারত নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভুমি) ্এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দাবী জানান। এর প্রেক্ষিতে দ্রুত উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই নির্মান কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে, ইমারত নির্মান কাজ বন্ধ রাখলেও ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক নির্মান সামগ্রী অপসারণ করেনি। বরং ধীরে ধীরে আরো সামগ্রী নিয়ে এসে মজুত করছেন। গতকাল মালিকের নিয়োজিত লেবারকে বালু ড্রেসিং কাজ করতে এবং ট্রাক্টরে করে সামগ্রী নিয়ে আসতে দেখা যায়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন