১০ রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ডাকছে সরকার | Daily Chandni Bazar ১০ রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ডাকছে সরকার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৫:২০
১০ রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ডাকছে সরকার
অনলাইন ডেস্ক

১০ রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ডাকছে সরকার

চলতি বছরে চাকরির মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া ১০ জন রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ডেকে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদের মধ্যে পেশাদার কূটনীতিক মো. মনিরুল ইসলাম (ইতালি) ও আসুদ আহমেদ (গ্রিস) এর দুজনেরই অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) শুরু হবে এপ্রিলে।

এ ছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে খলিলুর রহমান (কানাডা) ও মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার (জার্মানি) মেয়াদ শেষ হবে এপ্রিলে, মোহাম্মাদ সুফিয়ুর রহমান (সুইজারল্যান্ড) ও মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানের (কুয়েত) মেয়াদ শেষ হবে মে মাসে, সুলতানা লায়লা হোসেন (পোল্যান্ড) ও মোহাম্মাদ আব্দুল হাইয়ের (থাইল্যান্ড) মেয়াদ শেষ হবে জুনে এবং শাহাবুদ্দিন আহমদ (জাপান) জুলাই মাসে ও মো. ফজলুল বারীর (ইরাক) মেয়াদ শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। এর মধ্যে ৯ জনকে ইতোমধ্যে ফেরত আসার বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রক্রিয়া অনুযায়ী রাষ্ট্রদূতদের কাছে নির্দেশনা যায় অবিলম্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেয়ার জন্য। কিন্তু প্রথা হচ্ছে- মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বা দুই দিন আগে তারা রিপোর্ট করেন। তবে এতে প্রশাসনিক কাজের কোনো ব্যত্যয় হয় না।

এদিকে কূটনীতিকদের সরকারি চাকরি শেষ হওয়ার পরে মেয়াদ বৃদ্ধির একটি প্রথা চালু রয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে তিন থেকে চার বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর ফলে মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রদূত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, একজন পেশাদার কূটনীতিক যদি ৫৯ বছরের পরও রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করতে থাকেন, তখন মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের সুযোগ কমে আসে। আমরা বিষয়টি ইতোমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবকে জানিয়েছি। তারাও বিষয়টি বোঝেন।

বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে। এসব দূতাবাসে পররাষ্ট্র ক্যাডার বা বাইরে থেকে নিয়োগ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি। মোট রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ পররাষ্ট্র ক্যাডার এবং সর্ব্বোচ্চ ৩০ শতাংশ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন