দ্রুতই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে সরকার। এরই মাঝে ৭ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ, জানা গেছে, ঘোষণা আসতে পারে যেকোনো সময়। দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছে। সরকারের নীতি নির্ধারকরদের থেকেও দাম বৃদ্ধির আভাস এসেছে। এবারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোকে মূল্যবৃদ্ধি না বলে ডলারের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পাইকারি পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। তবে ভোক্তাদের ওপর যাতে খুব বেশি প্রভাব না পড়ে, সেভাবেই বাড়ানো হবে দাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যবহারের পরিমাণ অনুযায়ী তিনটি স্তরে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ হবে। মাসে ২০০ ইউনিটের কম ব্যবহার করলে প্রতি ইউনিটে ৩০ পয়সা বাড়বে। মাসে ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীদের, প্রতি ইউনিটে ৭০ থেকে ৮০ পয়সা বেশি দিতে হবে।
বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের মেয়াদে গ্রাহক পর্যায়ে এ পর্যন্ত ১৩ বার বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে ১২ বার।
আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানির মাধ্যমে স্টেক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে দাম বাড়ালেও গত বছরের জানুয়ারি থেকে দাম বাড়ানো হচ্ছে সরকারের নির্বাহী আদেশে। সর্বশেষ গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়। ওই সময় খুচরা পর্যায়ে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী লাইফলাইন গ্রাহকের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৪ টাকা ১৪ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ টাকা ৩৫ পয়সা। শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর (প্রথম ধাপ) ক্ষেত্রে ৪ টাকা ৬২ পয়সা থেকে বেড়ে হয় ৪ টাকা ৮৫ পয়সা।
এছাড়াও ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের (দ্বিতীয় ধাপ) ক্ষেত্রে ৬ টাকা ৩১ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ৬৩ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের (তৃতীয় ধাপ) ৬ টাকা ৬২ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ৯৫ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের (চতুর্থ ধাপ) জন্য ৬ টাকা ৯৯ পয়সা থেকে বেড়ে ৭ টাকা ৩৪ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের (পঞ্চম ধাপ) জন্য ১০ টাকা ৯৬ পয়সা থেকে বেড়ে ১১ টাকা ৫১ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের (ষষ্ঠ ধাপ) ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকের বিল ১২ টাকা ৬৩ পয়সা থেকে বেড়ে ১৩ টাকা ২৬ পয়সা করা হয়।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন