
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী সেতুর পুর্ব উভয় পার্শ্বে, ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বাঁধের দক্ষিণ পার্শ্বে, দরবস্ত ও কাটাবাড়ী ইউনিয়নে পলুপাড়া সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে, রাখালবুরুজ ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকায় বড়দহ সেতুর আশেপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নদীর তীর ও চর কেটে বিক্রির প্রতিযোগিতায় নেমেছে স্থানীয় বালুদস্যুরা। প্রতিদিন রাত নামলেই শুরু হয় বালু উত্তোলন, নদীর তীর ও চর কাটার মহোৎসব। দিনের আলোয় সবকিছু বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় শুরু হয় এসব মহোৎসব। জনস্বার্থে এসব বালু উত্তোলন, নদীর তীর ও জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের শক্তিশালী ভুমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এছাড়াও গোবিন্দগঞ্জে বালু উত্তোলন ও পরিবহনে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। বালুদস্যুদের সাথে ড্রাম-ট্রাক সমিতির কথিত নেতা শামীম, সালামের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করে এবং চর ও মাটি কেটে বিভিন্ন জেলায় পরিবহন করছে। একাজে ব্যবহৃত শতাধিক ড্রাম ট্রাক ও ভেকু (স্কেবেটর) বিভিন্ন জেলা থেকে সংগ্রহ করে তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। যেকোন মুহূর্তে সরকারের নির্মিত চারলেন রাস্তা ও কাটাখালি সেতু সহ দৃশ্যমান কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন বন্যা, ভূমি ধ্বসের ও ভূমিকম্পের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন