সারিয়াকান্দিতে প্রাচীর নির্মাণে অবরুদ্ধ প্রাথমিক বিদ্যালয় | Daily Chandni Bazar সারিয়াকান্দিতে প্রাচীর নির্মাণে অবরুদ্ধ প্রাথমিক বিদ্যালয় | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০২:৪৮
সারিয়াকান্দিতে প্রাচীর নির্মাণে অবরুদ্ধ প্রাথমিক বিদ্যালয়
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

সারিয়াকান্দিতে প্রাচীর নির্মাণে অবরুদ্ধ প্রাথমিক বিদ্যালয়

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার নাড়াপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত  হয় ১৯২৮ সালে।

প্রায় সাত বার যমুনা নদী ভাঙ্গনে শিকার হয়েও বিদ্যালয়টি এখনো গৌরব ধরে রেখেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি কুতুবপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে অবস্থান করছে। গত কয়েক বছর আগে বিদ্যালয়টি বহুতল ভবনে স্থাপন হয়েছে। এ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কর্নিবাড়ী দ্বিমুখী মাদ্রাসার মাঠের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করত। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই স্থানে হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা মাদ্রাসার বিশাল আকার মাঠের  এক কোনায় খেলাধুলা করতো। কিন্তু এ বিদ্যালয়ের সামনে এমন ভাবে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যা দৃষ্টি কটুর হয়ে দাঁড়িয়েছে।এ প্রাচীরের কোন গেটও তারা রাখেননি।সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা মই দিয়ে  প্রাচীর টপকিয়ে স্কুল  যাতায়াত করছে। তবে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা স্কুলের পিছনে একটি বোরো ধানের সরু আইল দিয়ে যাতায়াত করছে । প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন,
সেখানে যাতায়াত করতে তাদের প্রতিনিয়ত নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বৃষ্টির সময় এই সরু আইল দিয়ে চলাচল করতে পা পিছলে অনেক শিক্ষার্থীরা তাদের কাপড় চোপড় নষ্ট হওয়ারও অভিযোগ করছে। তাছাড়া একটু বেশি বৃষ্টি হলে বা বর্ষা মৌসুমে এ বোরো ধানের জমিটি বেশ কয়েক মাস পানি জমে থাকার কারণে এক কোমর পানি ভেঙ্গে যাতায়াত করতে হবে। এদিকে প্রাচীর দিয়ে অবরুদ্ধ করায় এ প্রতিষ্ঠানের মাঠও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে স্কুলের শিক্ষার্থীরা খোলা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বলেন,  আগে আমরা মাদ্রাসার মাঠ দিয়েই চলাচল করতাম। প্রাচীর দিয়ে রাস্তা বন্ধ করার পর থেকেই আমরা মই বা বোরো ধানক্ষেতের সরু আইল দিয়ে যাতায়াত করছি। সরু আইল দিয়ে যাতায়াত করার সময় আমি একদিন ধানক্ষেতে পা পিচলে পড়ে গিয়েছিলাম। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বলেন , নিষেধ করা শর্তেও মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীরটি নির্মাণ করে আমাদের অবরুদ্ধ করেছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। মাদ্রাসার কোথাও কোনো সীমানা প্রাচীর নেই কিন্তু আমার স্কুলের সামনেই কেন প্রাচীরটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার আজাহার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী ২৯ তারিখ পর্যন্ত এমপি সাহেব অপেক্ষা করতে বলেছেন। ২৯ তারিখের পর একটা সুরাহ  হবে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন