মহাদেবপুরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ | Daily Chandni Bazar মহাদেবপুরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২৪ ২২:৫৪
মহাদেবপুরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ
ষ্টাফ রিপোর্টার

মহাদেবপুরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

নওগাঁর মহাদেবপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে  বাগানের অর্ধশতাধিক ফলজ কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে। তবে প্রতিপক্ষের লোকজন বলছেন কলাগাছ গুলো তারা কাটেননি কেটেছে অভিযোগকারী নিজেই।গত ২৪ মার্চ রোববার এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর উত্তরগাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত অহির উদ্দিনের ছেলে খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন, তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর আগে ওই মৌজায় ৯০৪ দাগে এবং মৃত রোস্তম আলী প্রামাণিক ৯০৫ দাগে জমি কেনেন। এরপর তারা মৌখিকভাবে বদল করে খলিলুর রহমান ৯০৫ দাগ ও রোস্তম আলী ৯০৪ দাগ ভোগ দখল করে আসছেন। ৯০৫ দাগে খলিলের ৩শ’ ফলন্ত কলাগাছ রয়েছে।তার প্রতিপক্ষ মৃত মহসীন আলী প্রামাণিকের ওয়ারিশগন মহাদেবপুর থানায় অভিযোগ দেন যে, ওই জমি তারা পাবেন। এনিয়ে  গত ২৪ মার্চ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় থানায় এসআই শাহ আলমের নেতৃত্বে শালীসের আয়োজন করা হয়। এ শালীসে উভয়পক্ষের জমির কাগজ দেখে ৯০৫ দাগে কোন জমি খলিলুর রহমানের কেনা না থাকায় সে জমির দখল তাকে ছেড়ে দেয়াসহ ওই জমির উপর থাকা কলাগাছের অর্ধেক প্রতিপক্ষদের দেয়ার নির্দেশ দেন এসআই শাহ-আলম। এসময় খলিলুর রহমান দাবি করেন যে, মহসীন আলী জীবদ্দশায় তার প্রাপ্ত জমি অন্যত্র বিক্রি করেছেন। কিন্তু সে দলিল দেখাতে না পারায় তার কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। তিনি দলিল সংগ্রহের জন্য সময় চাইলেও তা অগ্রাহ্য করা হয়।এই ঘটনার পর পরই খলিলুর রহমান রোস্তম আলীর জমি বিক্রির দলিল সংগ্রহ করে।খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন, তিনি বাড়ি পৌঁছে জানতে পারেন দুপুরের দিকে খয়বর আলীর নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের ১৪/১৫ জন লোক ওই কলাবাগানের ৭০টি ফলজ কলাগাছ কেটে ফেলেছে। এতে তার লক্ষাধিক টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়েছে।কলাগাছ গুলো কেটে ফেলার বিষয়টি অস্বীকার করে প্রতিপক্ষের খয়বর আলী বলেন,খলিলুর রহমান নিজেই ওইসব কলাগাছ কেটে কলা বিক্রি করে দিয়ে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন