সাঘাটায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অনশন | Daily Chandni Bazar সাঘাটায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অনশন | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৪ ২৩:০৮
সাঘাটায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অনশন
ভ্রামমান প্রতিনিধিঃ

সাঘাটায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অনশন

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পুটিমারি গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননী জেমি বেগম একদিন ধরে অনশন করছেন।   লম্পট প্রেমিক রাসেল সরকার ও তার পরিবার বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে।

অভিযোগে জানা যায, সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের বাঁশ হাটা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে জেমি বেগমের  সাথে পাঁচ বছর পূর্বে  উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে  নাজের বেপারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পূর্বে হতে সাঘাটা উপজেলার পুটিমারি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাসেল সরকারের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিক বিয়ে করবে বলে  তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ।  সম্প্রতি  জেমির স্বামী বাড়িতে  না থাকার সুযোগে রাসেল জেমি বেগমের ঘরে প্রবেশ করে এবং বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জেমি বেগমকে ধর্ষণ করে। এভাবে লোক চক্ষুর আড়ালে  রাসেল জেমি কে ধর্ষণ করে আসছিল । কিন্তু অতি লোভের কারণে বিধি বাম হয়ে যায়। একপর্যায়ে রাসেলকে জেমির শ্বশুরবাড়ির লোকজন ধরে ফেলেন। পুলিশে  সোপর্দ  করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে  স্বামী নাজের বেপারী সন্তানকে রেখে জেমিকে তালাক দেন। এদিকে, পুলিশ  রাসেলকে সাঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের মাধ্যমে  ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ  করে। জামিনে  বাড়িতে আসলে জেমির লোকজন রাসেলকে বিয়ে করার চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু রাসেল বিয়ে না করে তালবাহানা করে আসছিল। ফলে ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেমি বেগম  বিয়ের দাবিতে রাসেলের বাড়ির উঠানে একদিন ধরে অনশন করছেন। রাসেল সরকার ও তার পরিবার বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। এই ঘটনায় ওই বাড়িতে লোকজন ভিড় করতে দেখা গেছে। ভুক্তভোগী জেমি বেগম বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণ করে আসছিল রাসেল সরকার। জেমির বাবা আব্দুল গফুর বলেন, লম্পট রাসেল আমার মেয়ের সংসার ভাঙ্গিয়েছে, আমি ওর বিচার চাই। এসব ঘটনায় গত ২১ মার্চ বোনারপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডায়েরি করা হয় । 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন