৭ বছর পর অবশেষে নির্মাণ হলো সেই ব্রিজ, এলাকাবাসির দুর্ভোগ লাঘব | Daily Chandni Bazar ৭ বছর পর অবশেষে নির্মাণ হলো সেই ব্রিজ, এলাকাবাসির দুর্ভোগ লাঘব | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৪ ২৩:২২
৭ বছর পর অবশেষে নির্মাণ হলো সেই ব্রিজ, এলাকাবাসির দুর্ভোগ লাঘব
সুকুমল কুমার প্রামানিক, স্টাফ রিপোর্টার রাণীনগর

৭ বছর পর অবশেষে নির্মাণ হলো সেই ব্রিজ, এলাকাবাসির দুর্ভোগ লাঘব

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার সর্বরামপুর-ভবানীপুর চৌতাপাড়া নামক স্থানে রতনডারি খালের মাঝখানে দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর ব্রিজের পিলার দাঁড়িয়ে থাকার পর অবশেষে সেই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন করে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে করে চড়ম দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছেন এলাকার প্রায় ১০ গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ কৃষিনীর্ভর প্রায় সাত হাজার পরিবার। ফলে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসির মাঝে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে উপজেলার রতনডারি খালের সর্বরামপুর-ভবানীপুর চৌতাপাড়া নামক স্থানে ফুট ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল (এডিপি) থেকে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই বছরের মার্চ মাসে ব্রিজটি নির্মাণে দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে এলজিইডি। এরপর ওই সময় এলজিইডি অফিসের তত্ত্বাবধায়নে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হলেও কাজটি সমাপ্ত না করেই বরাদ্দের সব টাকায় সেখানে শুধুমাত্র দু’টি পিলার নির্মাণ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরপর ওই বছরের শেষের দিকে বন্ধ হয়ে যায় ব্রিজটির নির্মাণ কাজ। দীর্ঘ ৬ বছর পর ২০২১-২২ অর্থ বছরে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য খালের দুইপাশে এ্যাবাটম্যান ওয়াল নির্মাণে আবারও ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে টেন্ডার দেওয়া হয়। ওই টেন্ডারে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়ে এ্যাবাটম্যান ওয়াল নির্মাণ করেন। এরপর আবারও অর্থঅভাবে কাজটি বন্ধ হয়ে পড়ে। ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করার জন্য আবারও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলা পরিষদ থেকে তৃতীয় ধাপে ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলে সম্প্রতি ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা, আবুল কালাম, আশিকসহ অনেকেই জানান, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আমরা ব্রিজটি পেলাম। এতে করে এলাকার প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। তারা বলছেন, ব্রিজ নির্মাণের আগে শুষ্ক মৌসুমে পাড়ে হেঁটে আর বর্ষা মৌসুমে কয়েক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে দু’পাড়ের মানুষের যাতাযাত করতে হতো। মাঠের ফসল ঘরে তুলতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিলো কৃষকদের। অবশেষে ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হওয়ার পাশাপাশি স্বস্তি ফিরে এসেছে।

রাণীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলু বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ায় খালের দু’পাড়ের বাসিন্দারের জীবনযাত্রা, আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাপক পরিবর্তণ আসবে।

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইসমাইল হোসেন বলেন, দেরিতে হলেও ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন করে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। শুধু ব্রিজের রঙের কাজ বাঁকি আছে, কিছু দিনের মধ্যে সেটিও সম্পন্ন করা হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন