রিকশাচালকের নেতৃত্বে গ্যারেজ মালিকের ছেলে মো. মোজাহিদকে (৫) অপহরণ করা হয়। এরপর শিশুটির পরিবারকে ফোন দিয়ে ৬০ হাজার টাকা দাবি করে চক্রটি। ওই চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সঙ্গে অপহরণ চক্রের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দেওয়া টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন আসিফ আলী (২২), শাহিন (২৩) ও মো. সুমন আলী (১৮)।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
তিনি বলেন, শেরেবাংলা নগরের বিএনপি বস্তি থেকে গত ২৮ মার্চ শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর শিশুটির পরিবারকে ফোন দিয়ে ৬০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কিছু টাকাও পাঠায়। কিন্তু তারা আরও টাকা দাবি করেন। পরে শিশুটির বাবা বিষয়টি থানায় অবগত করেন। এরপর ১২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
অপহরণের নেপথ্যে ছিলেন একজন রিকশাচালক। তিনি শিশুটির বাবার গ্যারেজেই থাকতেন। শিশুটি সুস্থ আছে। তাকে বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
শিশুটির বাবা মো. নুরুজ্জামান ওরফে জামাল বলেন, ২৮ মার্চ আমার বাচ্চা হারিয়ে গেলে সারারাত খোঁজ করেও কোনো খোঁজ পাই না। পরদিন আমাকে ফোন দিয়ে বলে ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে। ফোন দিয়ে আমাকে বলে, ‘টাকা দও তাহলে বাচ্চা পাবা, তা না হলে বাচ্চা পাবা না।’ পরে আমি তাদের ২০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপর থানায় বিষয়টা জানাই।
তিনি বলেন, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা আমার গ্যরেজের রিকশা চালাত। তারা যে আমার বাচ্চাকে জিম্মি করেছে সেটা জানতাম না।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন