
বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সেই সাথে হুমকির মুখে পড়েছে বোরো ধান। জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বোরো ধান, কলকারখানা হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও বিদ্যুতের প্রতি নিয়ত চলছে লোডশেডিং। দশ মিনিট পর পর বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ অসংখ্য বিদ্যুৎ বাল্ব ফিউজ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সারা দিনে সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ থাকে হাতে কলমে গুনে তিন ঘন্টার মত। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে যায় আসে রাত নয়টায় ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে। অপর দিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ফুসে উঠছে জনগনসহ সচেতন মহল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ও লোডশেডিং এর ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেলেও কতৃপক্ষ যেন নিরব। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে বোরো ধানে পানি দিতে না পারায় বোরো ধান হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, দিনে ৭ থেকে ৮ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। তারা আরও জানান, একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আর আসার নাম নেই। গভীর রাতে বিদ্যুৎ গেলে সকাল হলেও বিদ্যুৎ আসেনা । কোনো কোনো দিন সারারাত বিদ্যুৎ আসে না। আমাদের রাত জেগে জমিতে পানি সেঁচ দিতে হয়। এদিকে চলছে রমজান মাস, যেখানে রোজাদাররা সারাদিন রোজা থেকে রাতে বিছানায় একটু স্বস্তির ঘুম ঘুমাইতে যাবে সেসময় শুরু হয় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। সৌর বিদ্যুৎ চালিত ফ্যান ঠিক করতে আসা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল মোমিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গরমের সিজন আসলেই শুরু হয় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি আমরা নিয়মিত বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। সকাল ৮টায় বিদ্যুৎ চলে যায় বিকাল ৪টা বাজে বিদ্যুৎ আসে। তাও আবার ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ বার যাওয়া আসা করে। আমি একটি সৌর বিদ্যুতের ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে তাই মেরামতের জন্য এনেছি। সন্ধ্যয় ছেলে মেয়েরা গরমের কারণে লেখাপড়া করতে পারছেনা। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে করে আমরা বিদ্যুতের ভেলকিবাজি থেকে একটু বাঁচি। অনেকেই আবার বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণে চুরি, ছিনতাই হওয়ার আশংকা করছেন। এবিষয়ে উপজেলা বিদ্যুৎ ডিজিএম’র সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন