বগুড়ার আদমদীঘির কেশরতা গ্রামে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের পর থেকে একই দলের সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনের জেরধরে পাল্টাপাল্টি মারধরে গ্রামের মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। গতকাল শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে জমিতে আইল কাটতে গিয়ে ডালিম নামের এক ব্যক্তি মারপিটে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। প্রশাসনিক ভাবে নিয়ন্ত্রন না করা হলে যে কোন মুহুর্তে ওই গ্রামে বড় ধরণের সংঘাত ঘটতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।
জানাযায়, আদমদীঘি উপজেলার কেশরতা গ্রামে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একই প্রার্থির পক্ষে নজরুল ইসলাম নজু ও জুয়েল রহমান সহ তার লোকজন দুই পক্ষ পৃথক ভাবে প্রচারনা চালান। তাদের সমর্থিত ওই প্রার্থী উপজেলা চেয়রম্যান পদে নির্বাচিত হন। তবে নজরুল ইসলান নজুর মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয় জুয়েল রহমান অপর প্রার্থির পক্ষে কাজ করেছে। এ নিয়ে চারদিন পূর্বে উপজেলার কুসুম্বী বাজারে নজরুল ইসলাম নজু ও জুয়েলের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন নজরুল ইসলামের ছেলে ধাওয়া করে জুয়েল রহমানকে গ্রামেই মারপিটে আহত করে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা থাকে। গতকাল শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে নজরুলের ছেলে ডালিম তাদের জমিতে আইল কাটতে গেলে জুয়েল সহ তার লোকজন ওই জমিতে ডালিমকে বেদম মারপিটে আহত করলে তাকে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেশরতা গ্রামে চলছে প্রতিশোধ নেয়ার পাল্টাপাল্টি মারপিটের প্রতিক্রিয়া। ঘটনটি নিয়ন্ত্রন করা না হলে যেকোন মুহুর্তে গ্রামে ঘটতে পারে বড় ধরণের সংঘাত। নজরুল ইসলাম নজু ও জুয়েল রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি স্বীকার করে জানান, মিথ্যা অপবাদ দেয়ায় পাল্টাপাল্টি মারপিটের ঘটনা ঘটে। আদমদীঘি থানার উপ পরিদর্শক নাজমুল হোসেন মৃধা জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্ত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।