৫ আগস্ট সোমবার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হতে পদত্যাগের পর রাতে বঙ্গভবনে প্রতিনিধি দলের সাথে সাথে বৈঠক শেষে বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন
তিনি বলেন, “একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকল দল অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সকল মিথ্যা মামলায় আটক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের পরিবারদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসার প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা দেওয়া হবে। সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রিয় দেশবাসী, আমি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সরকারি সম্পদ রক্ষায় দেশের সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের অর্থনীতি, প্রশাসন ও শিল্প কল—কারখানা চালু রাখার লক্ষ্যে সকলকে কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অতি শিঘ্রই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া যারা হত্যা ও সহিংসতার সাথে জড়িত নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী অনতিবিলম্বে দেশের বর্তমান সরকার বিলুপ্ত করা হবে। দেশের সকল অফিস আদালত আগামীকাল হতে স্বাভাবিকভাবে চলবে। প্রিয় দেশবাসী, আসুন আমরা দেশকে বাচাতে একযোগে কাজ করি। পারস্পরিক হিংসা—বিদ্বেষ ভুলে ও প্রতিহিংসার উর্দ্ধে উঠে দেশকে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য আমি বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি। একটি সুন্দর ও সোনালী ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় আমরা এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ্। মহান আল্লাহ্ আমাদের সহায় হউন। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”