পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনায় শান্তিপূর্ন ভাবে বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলন চলাকালে আতর্কিত গুলি বর্ষন ও হামলায় নিহত ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা কমীর্দের নাম উল্লেখ করে ১০৩ জনের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়।
নিহত ছাত্র জাহিদুল ইসলামের (১৯) বাবা দুলাল উদ্দিন মাষ্টার এবং নিহত ছাত্র মাহবুব হাসান নিলয়ের (১৩) বাবা আবুল কালাম আজাদ যৌথ ভাবে ১০৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা যায়।
মামলার বিবাদীরা হলেন, পাবনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগরে সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, সাবেক মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা আব্দুল হামিদ মাষ্টার, আব্দুল হান্নান, কামিল হোসেন, আহাদ বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান সুইট, শিবলী সাদিক, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনিসুজ্জামন দোলন, নজরুল ইসলাম সোহেল, আলী আহসান, শেখ লালু, শেখ রাসেল ভিপি, মোতাই চেয়ারম্যান, মোস্তাক আহমেদ আজাদ, ফিরোজ আহমেদ, ডাবলুসহ ১০৩ জন আসামী ছাড়াও বেশ কিছু অজ্ঞাত নেতা—কর্মিদের আসামী করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে নিহত ছাত্র জাহিদুল ইসলামের বাবা দুলাল উদ্দিন মাষ্টার মামলা দায়ের কথা নিশ্চিত করে বলেন, ২ জন ছাত্র হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি বিস্তারিত এই মূহুর্তে বলতে পারছি না।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগষ্ট সারাদেশের ন্যায় পাবনায় বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলন চলছিলো। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে শহরের ট্রাফিক মোড় এলাকায় ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অতর্কিত ভাবে হামলা করে দুবৃর্ত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন হামলাকারী আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা—কর্মিরা ছিলেন। এই সময় ঘটনাস্থলেই শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ও মাহবুব হাসান নিলয় প্রাণ হারান। এ ঘটনায় অনেক ছাত্র—ছাত্রী, জনতা আহত হন।
নিহত জাহিদুল ইসলাম পাবনা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ৬ষ্ট সেমিষ্টারের ছাত্র এবং নিহত মাহবুব হাসান নিলয় সিদ্দিক মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন।