আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি করলে থানায় সোপর্দের আহ্বান হাসনাতের | Daily Chandni Bazar আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি করলে থানায় সোপর্দের আহ্বান হাসনাতের | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২৪ ০০:৩০
আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি করলে থানায় সোপর্দের আহ্বান হাসনাতের
অনলাইন ডেস্ক

আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি করলে থানায় সোপর্দের আহ্বান হাসনাতের

ছবি- অনলাইন

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয়ে চাঁদাবাজি অথবা বিশেষ সুবিধা দাবি করলে তাদের থানায় সোপর্দ করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। 

আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে আহতদের পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এসময় আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির উপস্থিত ছিলেন।          

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গতকাল থেকে আমরা আহতদের দেখতে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করছি। আজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই – ‘ফিলিস্তিনের রাফা ক্যাম্প’ বাংলাদেশেও আছে এবং সেটি হচ্ছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। অর্থাৎ আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এতটাই ভেঙেছে যে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ঢাকা মেডিক্যালের কোনও অমিল নেই। অর্থাৎ বিগত সরকার আমাদের স্বাস্থ্যখাতের জানাজা করে দাফন-কাফন সম্পন্ন করে দিয়েছে। এই ভঙ্গুর স্বাস্থ্যখাতকে আবারো পুনরুজ্জীবিত করতে হলে আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আজ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালকের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যদি লাল ফিতার দৌরাত্ম্য না থাকে, রাজনৈতিক আধিপত্য না থাকে, যদি কোনও ধরনের পলিসি ম্যানিপুলেশন না থাকে, স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা বা টেন্ডারবাজি না থাকে তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে এই খাতকে জনমুখি হিসেবে তারা আমাদের উপহার দিতে পারবেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখেছি নাম-সর্বস্ব সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের উৎপাত বেড়ে গেছে। অনেক বেশি সেবা-সুবিধা দিতে গিয়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করছে। সেজন্য আহতদের চিকিৎসার জন্য একটি আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসার জন্য কোনও অর্থ লাগবে না।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক পরিচয়ে ব্যানার টানিয়ে ফান্ড কালেকশন করা হচ্ছে। আমরা হাতেনাতে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ একটা পক্ষকে ধরেছি। আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৫ জুন থেকে যখন আন্দোলন করছে আজ পর্যন্ত আমরা কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সম্পর্কিত না। আমাদের যদি কোনও ধরনের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।