সাড়ে ৩ বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ চেষ্টা।। মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি | Daily Chandni Bazar সাড়ে ৩ বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ চেষ্টা।। মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২৪ ১০:২১
সাড়ে ৩ বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ চেষ্টা।। মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি
ভুক্তভোগী পরিবারের মহাস্থান প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সাড়ে ৩ বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ চেষ্টা।। মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি

মহাস্থান প্রেস ক্লাবে ধর্ষণ চেষ্টার ভুক্তভোগীর নানী খাদিজা বেগম লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন। ১৮ আগস্ট, ২০২৪; ছবি- বিজ্ঞপ্তির

ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দ্রুত তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত পরিবার।  এবিষয়ে ভুক্তভোগীর নানী বিধবা খাদিজা বেগম মহাস্থান প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকাল ৩টায় মহাস্থান প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্যে খাদিজা বেওয়া বলেন, ২০১১ সালে আমার এক মাত্র মেয়ে মরিয়ম বেগম কে বিয়ে দেই বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার আটকড়িয়া গ্রামের মৃত সাহেব আলী ব্যাপারীর পুত্র জনৈক লিটনের সাথে। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। আমার মেয়ে ও জামাই তারা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অবস্থান করেন। এবং তাদের মেয়ে আমার নাতনীকে আমার কাছেই রেখে যান। আমি সে থেকেই তাকে লালনপালন করি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭/০৪/১৯ইং তারিখ দুপুর ২টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের আজগর আলী অরফে আজবরের পুত্র সাহাদ হোসেন (সৌরভ) (১৪) ও একই গ্রামের সাইফুরের পুত্র আল-মামুন। ২ জনে পরিকল্পিত ভাবে তাদের বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে আমার সাড়ে ৩ বছরের নাতনীকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক তাদের খাটের ওপর নিয়ে বিবস্ত্র করে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় আমার নাতনী আত্মচিৎকার করলে ধর্ষক সৌরভ ও তার সহযোগী আল মামুন পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিলে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর রক্তাক্ত ভিকটিমকে সুচিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসার পর আমি নিজে বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। এ মামলায় ১নং আসামী সাহাদ হোসেন সৌরভ কে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সে কয়েক মাস জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হোন। ধর্ষক সৌরভ জামিনে মুক্ত হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এখন সে ও তার পরিবারের লোকজন মামলা তুলতে বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও আমার নাতনীকে অপহরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এবং দেখা মাত্রই কারনে অকারনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমতবস্থায় আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী খাদিজা তাদেরর জীবনে নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ধর্ষক সাহাদ হোসেন সৌরভ কে দ্রæত আটক করে দেশের বিচার বিভাগের নিকট সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। খবর বিজ্ঞপ্তির