
নওগাঁ পোরশা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে দীঘি পাড়া গ্রামবাসীর এই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য। খরা মৌসুমে ধুলো আর বর্ষা মৌসুমে হয়ে যায় হাঁটু পরিমাণ কাদা। গ্রামটির পূর্বে একটি বাজার, পশ্চিম পাশে কয়েক হাজার বিঘা জমি, বাজার থেকে গ্রামের মুখে এসে পাকা থেমে গেছে, মাঝে দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি এখনো পাকা হয়নি। ওই রাস্তাটি প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ শত মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম বলে জানান এলাকাবাসী মাওলানা ইসাহাক আলী।
একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি দেখে মনে হয় হাল চাষ করার জমি। কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী সহ শিশু শিক্ষার্থী ও পথচারী এবং মসজিদের মুসল্লিদের চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই।
এই গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, বাজার থেকে এক বস্তা চাউল নিয়ে ভ্যান ভাড়া করতে চাইলে পাঁচ টাকার ভাড়া নিতে চায় দুই থেকে তিনশত টাকা, আবার কখনো কখনো আসতেই চান না যানবাহন চালকেরা। আবার
কোথাও রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরের সঙ্গে মিশে গেছে ।
মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এ গ্রামে কোন মানুষ মারা গেলে লাশ বহন করে কবরস্থানে নিতে পড়তে হয় চরম বিপদে। অপরদিকে কোন প্রসূতি বা রোগী বহন করে হাসপাতালে নেওয়াও যেন কষ্টকর হয়ে পড়ে তাদের।
তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফজলুল হক শাহ বলেন, মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় দীর্ঘদিন দূর্ভোগে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। তারা এই রাস্তা দিয়েই মাঠ থেকে জমির ফসল ঘরে তোলেন। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী কেনাকাটা করতে যাতায়াত করতে হয় এলাকাবাসীকে।
জনদূর্ভোগ ও বিড়ম্বনার অবসান ঘটাতে রাস্তাটি পাকা করা প্রয়োজন। তিনি রাস্তাটি পাকা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জানা যায়, জনপ্রতিনিধির কাছে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকা করণের দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী। বারংবার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তাটির কাজ হচ্ছে না। যেন কোথাও আটকে রয়েছেন । দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানালেন ১ গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে পোরশা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, রাস্তাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। রাস্তাটি এলাকা বাসীর চলাচলের জন্য পাকা হওয়া প্রয়োজন। আমরা নতুন রিভাইজ একটি প্রকল্পে অন্তভুক্ত করেছি। স্কুল থেকে ৩০০ মিটার বরাদ্দ পেয়েছি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে এবং বাকিটা অনুমোদন হলে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।