
বগুড়ার মহাস্থানে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই (নেসকো) প্রি—পেইড বিদ্যুৎ মিটার বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহক ও সচেতন এলাকাবাসী। রবিবার সকাল ১১টায় মহাস্থান ফুটওভার ব্রিজ থেকে বিশাল একটি মিছিল নিয়ে মহাস্থান মাহীসওয়ার ডিগ্রি কলেজের পাশে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই (পিএলসি) অফিসের সামনে এসে সমাবেত হয়। সেখানে তারা মহাস্থান শিবগঞ্জ অঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে প্রিপেইড মিটার বাতিলের প্রতিবাদ জানান। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী এলাকাবাসীরা আরও বলেন, জনগনের স্বার্থ বিবেচনায় বর্তমান রাষ্ট্র নায়কদের উচিৎ প্রি—পেইড মিটার বন্ধ করে দেওয়া। পূর্বে তাদের যে বিদ্যুৎ বিল আসতো প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পর তা বেড়ে ৩ গুণ বেশী দাড়িয়েছে। মানববন্ধনে আসা এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিজের পেট চাপড়ে দুঃখ করে বলেন, যা আয় করি তার অর্ধেক যদি বিদ্যুৎ বিলই দিতে হয় তাহলে স্ত্রী—ছেলে—মেয়ে নিয়ে বাচঁবো কি করে। এ সময় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ব্যানার নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিবাদ জানান। মানববন্ধন সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসী ২ বছর যাবৎ অসহনীয় এ হায়েনা মিটারে বিল দিতে দিতে নাজেহাল অবস্থায় দিন যাপন করছে। এ অবস্থায় জনগণের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের নামে হাসিনা সরকার প্রিপেইড বিদ্যুতের কোনো সুবিধা দেয়নি বলে তারা আক্ষেপে বলেন। তারা আরও জানান, এই বিদ্যুৎ মিটার সর্বসাধারণের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং মিটারের ডিমান্ড চার্জ বাবদ প্রতিটি মিটার থেকে রিচার্জের সঙ্গে সঙ্গে একটি মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মানববন্ধন থেকে প্রতিটি ভোক্তা এ প্রিপেইড মিটারের বিপক্ষে ও প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এসময় সেনাবাহিনী ও পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়।
এসময় ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা ৮ দফা দাবিতে বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্থাপনকৃত সকল প্রিপেইড মিটার সরিয়ে না নিলে বৃহত্তর কর্মসূচীর ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন। নেসকো'র বিদ্যুতের এই প্রিপেইড মিটারকে রাক্ষুসে বলে তারা আখ্যায়িত করেন। এরপর তাদের দাবি নিয়ে তারা মহাস্থান নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি এর অফিস ঘেরাও করেন। একপর্যায়ে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই (পিএলসি) এর আঞ্চলিক অফিসার আবুল কালাম দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে আস্বস্ত করলে বিক্ষুব্ধ মানববন্ধনকারীরা তাদের অবরোধ তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, গ্রাহক গোকুল ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য এমদাদুল হক, মাস্টার আশরাফুল ইসলাম,আবু বক্কর সিদ্দিক, ওলী মিয়া, শাহ জালাল, সাহেদ ইসলাম, পলাশ মিয়া, শাহীনুর ইসলাম শাহীন, নুরনবী রহমান, আশরাফুল ইসলাম, গোলাম হোসেন, শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমূখ