বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ায় গতকাল বসতবাড়িতে হামলা ও মারপিটে নারীসহ ৭জন আহত হয়েছে। প্রত্যেক ভুক্তভোগীরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ব্যাপারে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে এই হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।
ধারালো অস্ত্রে মাথায় ও মুখমন্ডলে আঘাতপ্রাপ্ত ভুক্তভোগীরা হলেন বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ার আরজু বেপারি (৬০),জনি বেপারি (৩০),টপি বেপারি (৪৬),সবুজ বেপারি (৪০)। আহত অন্যরা-লায়েব আলী (২৯),রমজান আলী (২০) সাজু মিয়া (৪৫) এবং প্রিয়া বেগম (২৫)।
ভুক্তভোগী প্রিয়া বেগম বলেন, হামলাকারীরা ধারালো রামদা দিয়ে আমার স্বামীকে কুপিয়েছে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমার পেটে লাথি দিলে গর্ভপাত হয়। তারা নারীদের শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে। স্বামীর ওপর হামলা ও পৃথিবীর মুখ দেখার আগেই পেটের মধ্যে সন্তানকে হত্যার বিচার চাই।
গুরুতর আহত আরজু বেপারির মেয়ে সাথী বেগম জানায়,উত্তর চেলোপাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আজাদ,লেমন,কাওসার,চুন্নু,রাকিব,মোহাম্মদ,আলমসহ বেশ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। আজাদ বাহিনী মাদক,ছিনতাই,জুয়া ও চুরিসহ নানা অপরাধ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাবা আরজুসহ কয়েকজনকে কুপিয়েছে। হামলার সময় নারীদের শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে। এছাড়া দুটি বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জনি বেপারি ও টপি বেপারি বলেন,ঘটনার দিন শুক্রবার বিকালে চেলোপাড়ার দাখিল মাদ্রাসার কক্ষে সন্ত্রাস,মাদক,জুয়া,চুরি,দাদন,চাঁদাবাজ বিরোধী বৈঠক বসে। সামাজিক নিরাপত্তা ও এলাকার শান্তির স্বার্থে স্থানীয় দুই শতাধিক জনসাধারণের সঙ্গে আরজু বেপারিসহ তার পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে উত্তর চেলোপাড়ার চিহ্নিত অপরাধী আজাদের নেতৃত্ব একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা করে। এখন তাঁরাই মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন।