রাজশাহীতে গণপিটুনি দিয়ে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (৩৫) নামের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। নিহত মাসুদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ছিলেন। তিন দিন আগে তিনি কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছিলেন।
নিহত আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে স্টোর অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম।
নিহত মাসুদ গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছিলেন। চাকরির সুবাদে তিনি সপরিবারে নগরীর বিনোদপুরে থাকতেন। ২০১৪ সালে রাবি ছাত্রলীগের নেতা থাকাকালীন দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মাসুদের পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত কেটে নিয়েছিলো।
বছর দু'য়েক আগে মাসুদকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুপারিশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়া হয়। এর পর থেকে তিনি নগরীর বিনোদপুর এলাকায় থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত মাসুদ রাত ১০ টার দিকে বাড়ি থেকে রাজশাহী বিনোদপুর বাজারে ওষুধ কেনার জন্য আসলে গণপিটুনির শিকার হন। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মতিহার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে নেওয়া হয় বোয়ালিয়া থানায়। এরপর সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাসুদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ জানান, নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।