সেচ্ছাসেবদলের আহবায়ক মিজানের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন | Daily Chandni Bazar সেচ্ছাসেবদলের আহবায়ক মিজানের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০১:৪৩
সেচ্ছাসেবদলের আহবায়ক মিজানের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
৪৮ঘন্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার না করলে মহাসড়ক অবোরধের ঘোষনা
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেচ্ছাসেবদলের আহবায়ক মিজানের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

বগুড়ায় সদর উপজেলা সেজ্ছাসেবদলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজানের হত্যাকারীদের গ্রেফতার, শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। আগামী ৪৮ঘন্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার না করলে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবোরধের ঘোষনা দেন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় বগুড়া সদরের গোকুল বাসস্ট্যান্ড এলাকার বগুড়া—রংপুর মহাসড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনে অংশ নেন পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকার সর্বস্থরের সাধারণ মানুষ। মানববন্ধন থেকে নিহত মেয়ে ও স্ত্রী অভিযোগ করেন, মিজানকে পরিকল্পিতভাবে বিপুল, ফাইনুর, মিলন, নাহিদ, মহিদুল, জাহাঙ্গীর, মান্নাসহ আরও বেশ কয়েকজন গোকুল দলীয় অফিসে অতর্কিত ভাবে হামলা করে হত্যা করেছে। মানব বন্ধনে এলাকাবাসীর মধ্যে শাহজাহান, সিদ্দিক মাষ্টার, রেজাউল করিম টুলু, জনি, মিজানুরের মেয়ে মায়া, মিজানুরের স্ত্রী ছালমা বলেন, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর করতে হবে। নইলে মহাসড়ক অবোরধে করা হবে। মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী গোকুল ইউনিয়ন পরিষদ এরাকায় বগুড়া—রংপুর মহাসড়কে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে মিছিল করেন।  
উল্লেখ্য সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার সময় সদরের গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একদল দুর্বৃত্ত তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মিজান গোকুল উত্তরপাড়ার আফসার আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানায়, বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজান রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের কিছু দুরে একটি মটর শ্রমিক অফিসে ৬—৭ জনের সাথে বসে গল্প করছিল, এসময় বিদ্যুৎ ছিল না। তখন কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মিজানের ঘাড় ও গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে কোন্দল চলে আসছিল। ইতোপূর্বে ওই এলাকায় দুইজন খুন ও মিজানসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লেদো নামের এক যুবক কে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।