বগুড়া জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহফুজুল হক টিকনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন | Daily Chandni Bazar বগুড়া জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহফুজুল হক টিকনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০২:০৩
বগুড়া জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহফুজুল হক টিকনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক

বগুড়া জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহফুজুল হক টিকনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

শুক্রবার বিকালে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আদমদীঘির ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম।

বগুড়া জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহফুজুল হক টিকনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন আদমদীঘির ব্যবসায়ী মো: শফিকুল ইসলাম। ১৩ সেপ্টম্বর শুক্রবার বিকালে বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ আভিযোগ করেন। শফিকুল ইসলাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার রাতে আমাকে ফোন করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহফুজুল হক টিকন। বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন তিনি। বলেন টাকা না পেলে রাজনৈতিক কয়েকটি মামলার আসামী আমাকে করবে বলে হুমকি—ধামকি দেন। আরও বলেন, আপনার ভাই শাহিনুর ইসলাম আমাদের কথা মতো চাঁদা না দেওয়ার কারণে সান্তাহারের যুবদল অফিস পোড়ানোর মামলায় আসামী করা হয়েছে। আপনি আমার চাহিদা পূরণ না করলে আপনার জন্য এর চেয়ে কঠিন অবস্থা অপেক্ষা করছে। টিকনের এমন কথায় আমি অত্যন্ত ভয় পেয়ে যাই। পরে আমার ভাগ্নে শামিমকে দিয়ে ৩০ হাজার টাকা বিএনপি নেতা মাহফুজুল হক টিকনের হাতে পেঁৗছে দেয়। টাকা দেওয়ার অডিও রেকর্ড ও ভিডিও কৌশলে ধারন করি। যা সামাজিক যোগাযোগে অডিও ও ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে এ ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে গত ৩ সেপ্টেম্বর মাহফুজুল হক টিকনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এতে টিকন ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধের নেশায় আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করছেন। ইতিপূর্বে মাহফুজুল হক টিকনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে বিএনপির দুই নেতাকে নিবাচন থেকে সড়ে দাড়াতে বলেন। পরে ওই দুই প্রার্থীকে টাকা দিয়ে বশে দেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয়ী করেন। জনসাধারণের মুখে প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপির সরকার গঠনের আগেই টিকন যা শুরু করেছে, ক্ষমতায় আসলে এসব নেতারা না জানি কিনা করবে। পরিশেষে বিএনপি জেলা কমিটির নিকট আবেদন করছি তার বিরুদ্ধে দল থেকে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হোক। অন্যথায় দেশের বৃহৎ এই দলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে বলে মনে করছি।