পাঁচবিবিতে তরমুজ চাষে খুশি চাষীরা | Daily Chandni Bazar পাঁচবিবিতে তরমুজ চাষে খুশি চাষীরা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:৪৪
পাঁচবিবিতে তরমুজ চাষে খুশি চাষীরা
উপজেলা সংবাদদাতা, পাঁচবিবি, জয়পুরহাটঃ

পাঁচবিবিতে তরমুজ চাষে খুশি চাষীরা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মাচায় তরমুজ চাষ। ছবি: নির্মল রায়

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে অসময়ে মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ভূতগাড়ী সহ কয়েকটি এলাকায় জনপ্রিয় হচ্ছে মালচিং (মাচা) বাঁধিয়ে বারোমাসি তরমুজ চাষ। পরিবেশবান্ধব এ পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন রঙের তরমুজ চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখছেন কৃষকেরা। বিভিন্ন রং আর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ  বাজারে এ রসালো ফলের চাহিদাও রয়েছে বেশ। ফলে দিন দিন বেড়েই চলেছে মালচিং পদ্ধতিতে এই তরমুজ চাষ। এসব রং—বেরংয়ের তরমুজে আকৃষ্ট হয়ে ক্রয় করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ি ও পথচারীরা। এ তরমুজ চাষে যেমন বেকারত্ব ঘুচেছে, তেমন সৃষ্টি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থানেরও। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ভূতগাড়ি, ভারাহুত, শিরট্টি, গোড়না, জালালপুর ও নওটিকা, ভাসিলার মোড়সহ আশপাশে অনেক মাঠ থেকে নানা রংয়ের তরমুজ বেঁচাকেনা হচ্ছে। ফলে দিন দিন বেড়েই চলছে মাচায় চাষ করা এ তরমুজের। পাইকারি বাজারে এসব তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। সেই তরমুজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি। চাষিরা জানান, বছরের নয় মাস বাঁশের মাচায় তরমুজ চাষ করা যায়। চারা রোপণের ৫০ দিনের মধ্যে ফলন আসে এবং পরিপক্ক ফল হয়। লাভজনক হওয়ায় বেড়েছে তাদের আগ্রহ। দাম ভালো পাওয়ায় তারা খুশি। তরমুজ চাষকে কেন্দ্র করে ভূতগাড়ী ও নওটিকা এলাকায় গড়ে ওঠেছে অনেক দোকানপাটও।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার পাঁচবিবিতে ১৫ হেক্টর জমিতে বাঁশের মাচায় তরমুজ চাষ হয়েছে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ—পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভিন বলেন, মাচা পদ্ধতিতে বর্ষাকালিন এই তরমুজ চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন রংয়ের ফাঁদ, সেক্স ফেরোমন ট্যাব ও জৈব বালাইনাশক। এতে করে একদিকে ফসল হচ্ছে নিরাপদ অন্যদিকে কমছে উৎপাদন খরচ আর কৃষক হচ্ছে আর্থিকভাবে লাভবান। কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের সবসময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এবার ফলন ও দাম পাওয়ায় আগামীতে তরমুজের চাষ আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।