গত ১২ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঙ্গুরা আদিবাসি পাড়ায় বাঁশ ঝার হতে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে ছবি প্রচারের পর তার পরিচয় সনাত্ব হয়। জানাযায়, তার নাম রায়হান কবির মিলন পেশা ইজিবাইক চালক।
থানার প্রেস রিলিস সুত্রে জানাযায়, ১১ সেপ্টম্বর বিকাল ৫টার দিকে মিলন তার ইজিবাইক নিয়ে ভাড়া খাটার উদ্দেশে রওনা হয়। ঐ দিন সন্ধার সময় ছিনতাই চক্রের সদস্যরা অটো চালকের সাথে ২৫০ টাকায় ভাড়া ঠিক করে গোবিন্দগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথি মধ্য কামদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঙ্গুরা আদিবাসি পাড়ায় বাঁশ ঝারে আসলে গামছা দিয়ে মুখ বেধে ফেলে তারা পরে রশি দিয়ে হাত,পা বাধার চেষ্টা করে ছিনতাই কারিরা। এসময় অটো চালক রায়হান ধস্তাধস্তি করলে আসামিরা ধারালো চাকু দিয়ে গলার নিচে,বাম পাজরে,ডানকাধে ও পেটে আঘাট করে নৃশংসভাবে খুন করে ইজিবাইক ও ব্যবহৃত মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশের নিরলস চেষ্টায় প্রথমে আসামী খাদেমুল, পিতা আঃ রহিম, গ্রাম খারিতা এবং চন্দন মালি, পিতা শ্রী বিশ্বনাথ মালি, গ্রাম পলাষট্রিকে আটক করে এবং ইজিবাইক চালকের মোবাইল উদ্ধার করে। পরে আটককৃত আসামির দেওয়া তথ্যমতে আসামি নাজমুল ইসলাম,পিতা মৃত শুকুর আলী এর বাড়ী থেকে খুনে ব্যবহৃত ছোড়া উদ্ধারসহ তাকে আটক করে। আসামী নাজমুলের তথ্যমতে আসামি মীর হোসেন পিতা মোকলেছ আটক হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ছিনতাই হওয়া অটো বাগদা বাজার শাওনের বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন, গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার ইবনে মিজান, এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারি পুলিশ সুপার উদয় কুমার সাহা,অফিসার ইনচার্জ আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান,তারেকুল ইসলাম টুটুল(তদন্ত),মতিউর রহমান ইনচার্জ বৈরাগীরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, এসআই রাকিবুল ইসলাম, এসআই রায়হানুজ্জামান।