ড. ইউনূস জাতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান | Daily Chandni Bazar ড. ইউনূস জাতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০২:১৭
ড. ইউনূস জাতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান
অনলাইন ডেস্ক

ড. ইউনূস জাতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান

সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ছবি: voabangla

দেশ পুনর্গঠন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং চুরি যাওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং দেশের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, তার প্রশাসন অর্থনীতিকে ‘পুনঃস্থাপন, সংস্কার ও পুনরায় চালু করতে’ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে, আর্থিক খাতে সংস্কার শুরু করেছে এবং বিচার বিভাগ ও পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করছে।

রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধান উপদেষ্টা এ সহায়তা চান।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক গঠন ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, "যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের রূপরেখা খুঁজছে, তাই যুক্তরাষ্ট্র এই প্রচেষ্টায় সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছে।"

ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, বিনিয়োগ, শ্রম ইস্যু, রোহিঙ্গা সংকট এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফর নিয়েও আলোচনা হয়।

সফররত প্রতিনিধি দলটি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে।

রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় একাধিক বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তারা আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছেন এবং প্রাথমিকভাবে অর্থ পাচারের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন। কারণ বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষতা ব্যবহার করতে পারে।

তিনি বলেন, "সবে শুরু হয়েছে আলোচনা। চূড়ান্ত রূপ পেতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।"

ভারত সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য আলাদা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। "তাই এ ধরনের কোনো বিষয় এখানে আলোচিত হয়নি।"

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের বৈঠকের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গেলে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন না।

তিনি বলেন, সেখানে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তাদের সময়সূচি মিলে যায় তবে তারা একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের আন্তর্জাতিক অর্থবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রেন্ট নেইম্যান, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, সহকারী যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ, উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের পরিচালক জেরড ম্যাসন বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন।

গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে এটাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল। সূত্র: voabangla