কলাপাড়ায় ঘনঘন লোডশেডিং অন্য দিকে ভূতুড়ে বিল, গ্রাহকরা বিপাকে | Daily Chandni Bazar কলাপাড়ায় ঘনঘন লোডশেডিং অন্য দিকে ভূতুড়ে বিল, গ্রাহকরা বিপাকে | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২৩:৩৯
কলাপাড়ায় ঘনঘন লোডশেডিং অন্য দিকে ভূতুড়ে বিল, গ্রাহকরা বিপাকে
এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

কলাপাড়ায় ঘনঘন লোডশেডিং অন্য দিকে ভূতুড়ে বিল, গ্রাহকরা বিপাকে

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বাসা-বাড়ীতে, কল-কারখানা ‘ভৌতিক’ বিদ্যুৎ বিলের ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা। ত্রুটিপূর্ণ ওই বিল সংশোধনের জন্য এখন তাঁদের স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে ধরনা দিতে হচ্ছে। একদিকে ঘনঘন লোডশেডিং অন্য দিকে ভূতুড়ে অতিরিক্ত বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ও নিম্ন আয়ের মানুষ। 
 
কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া থানা গ্রাহকের সংখ্যা ৪৫০০০-৫০০০০।  গ্রাহকদের অভিযোগ, উপজেলা জুড়ে চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট  মাসে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং থাকায় তুলনা মূলক বিদ্যুৎ কম ব্যবহার হয়েছে। তবুও তাও দুই মাস ধরে দ্বিগুণ- তিনগুণ হারে বিদ্যুৎ বিল আসছে। লাগামহীন বিদ্যুৎ বিলে ভূত্তভোগীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মনগড়া বিল করে সাধারন গ্রাহকের পকেট কাটছেন বিদ্যুৎ অফিস। তারা যা ইচ্ছা তাই করছেন। দিনের পর দিন চলছে বিদ্যুৎ অফিসের এই অরাজকতা। তাদের দেখার কেউ নেই। গত দুইমাস ধরে বিল করা হয়েছে অন্য মাসের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি।এ জানো মগের মুল্লুক। 
 
এদিকে প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক বিল সংশোধনের অভিযোগ নিয়ে অফিসে যাচ্ছন। ভূতুড়ে বিলে প্রসঙ্গে কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি'র সাব- জোনাল অফিসে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান হচ্ছে না। উল্টো অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের মতো করে গ্রাহককে বুঝাচ্ছেন। এমাসে এই জমা দিয়ে দিন, আগামী মাসে ওটা পুসিয়ে দিবো। তাদের কথা বুঝলে ভালো, না বুঝলে কিছুই করার নেই বলে ভূক্তভোগীদের বিদায় দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন গ্রাহকের সাথে অফিসের কর্মকর্তা - কর্মচারীদের বাগবিতন্ডা হচ্ছে।
 
বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগ করে পৌরসভার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান খান বলেন, মে মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ১১ শত ৮৬ টাকা, জুলাই মাসে ১৯ শত' ৩৫ টাকা,। আগষ্টে আমাদের এলাকায় রেকর্ড পরিমানে লোডশেডিং ছিল অথচ এ মাসে বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিক ৩ হাজার দুই শত ৭৮ টাকা। বিদ্যুৎ যেখানে ঠিকমতো পাওয়া যায়নি , সেখানে এমন অস্বাভাবিক অংকের ভূতুড়ে বিল কিভাবে হয়, আমার মাথায় ধরে না। 
আরেক গ্রাহক কবিরুল ইসলাম  বলেন, জুলাই মাসে বিদ্যুৎ বিল ছিল, ১৩শ ২৩ টাকা, আগষ্ট মাসে ২৪ শ ৫২ টাকা। এখন আমার প্রশ্ন বাকী ১০২৯ টাকা কিসের জন্য বেশী নেয়া হচ্ছে। আগষ্ট মাসেও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসছে।
 
 সাবিনা ইয়ামিন নামের আরেক গ্রাহক বলেন, আগে নিয়মিত আমার বিল যেখানে ৩-৪শ' কাটা ছিল। সেখানে হঠাৎ করে বিল আসছে, ১২২৫ টাকা। এটা তো মগের মুল্লুক মনে হচ্ছে। 
 
কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি'র জোনাল এ জি এম মো. ইমরান শেখ বলেন, গ্রাহক যে পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহৃত করেন, সেভাবেই বিলও তৈরি হয়। অতিরিক্ত বিল নেয়া কোনো সুযোগ নেই। মৌখিক ভাবে বেশী কিছু অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।